পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (চতুর্দশ খণ্ড).pdf/৭৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

719 বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ চতুর্দশ খন্ড শিরোনাম সূত্র তারিখ ২৭৭৷ কলকাতা ও ঢাকায় ডেপুটি হাই কমিশন অফিস আনন্দবাজার পত্রিকা ২৫ এপ্রিল, ১৯৭১ বন্ধ হচ্ছে কলকাতা ও ঢাকায় ডেপুটি হাই কমিশন অফিস বন্ধ হচ্ছে বিশেষ সংবাদদাতা নয়াদিল্লী, ২৪ এপ্রিল-পাকিস্তান এবং ভারত আগামী সোমবারের মধ্যে ভারতের ডেপুটি হাইকমিশন অফিস বন্ধ করে দিচ্ছেন। গতকাল ইসলামাবাদে ভারতের অস্থায়ী হাইকমিশনারের কাছে এবং আজ পাকিস্তানী হাইকমিশনার কর্তৃক পররাষ্ট্র দফতরের সচিব শ্রী এস কে ব্যানার্জির কাছে প্রদত্ত নোটে পাকিস্তান কলকাতায় ডেপুটি হাইকমিশন অফিস বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন। এই নোটে ভারতকেও ঢাকায় তার ডেপুটি হাইকমিশন অফিস বন্ধ করতে বলা হয়। ভারত তাতে রাজে, তবে পাকিস্তানের এই সিদ্ধান্তে দুঃখিত। পাকিস্তানী নোট অনুসারে সোমবারের মধ্যেই এই দুই অফিস বন্ধ হয়ে যাবে এবং উভয় অফিসের কর্মী এবং তাদের পরিবাররগ স্থান ত্যাগ করবেন। ভারত পাকিস্তানের এই সিদ্ধান্তকে কূটনৈতিক মারপ্যাঁচ বলে উল্লেখ করেছে। ভারতের বৈদেশিক দফতরের একজন মুখপাত্র আজ এখানে বলেন, কলকাতায় পাক ডেপুটি হাইকমিশনার শ্রীমেহেদী মাসুদকে সম্ভাব্য সব রকম সুবিধাই আমরা দিয়েছিলাম। বাংলাদেশের নাগরিকদের উপর অমানুষিক অত্যাচারের ফলে জনসাধারণের মধ্যে চরম বিক্ষোভ থাকা সত্ত্বেও নিরাপত্তা রক্ষী এবং পুলিশ অফিসাররা শ্রীমাসুদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা রক্ষার প্রশংসনীয় কাজ করেছেন। একটি নিরাপদ জায়গায় ডেপুটি হাইকমিশনারকে যথাযোগ্য স্থান করে দেওয়ার জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছিলেন। এই সুবিধার সুযোগ উপেক্ষা করে কলকাতায় অফিস বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়ে এবং ঢাকায় আমাদের ডেপুটি হাইকমিশন অফিস বন্ধ করতে বলে পাকিস্তান যা করল তা দুঃখবহ। পাকিস্তানের পক্ষে এই পূর্ব পরিকল্পিত এবং ইচ্ছাকৃত কূটনৈতিক চাল নিন্দনীয়। পাকিস্তানী নোটে কর্মী এবং তাঁদের পরিবারবর্গের স্বদেশযাত্রার ব্যাপারে যে পদ্ধতির কথা বলা হয়, ভারত তাতে সম্মতি জানিয়েছেঃ ক। পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারওয়েজ ভারতীয় কর্মী এবং তাঁদের পরিবারবর্গকে করাচি থেকে ঢাকায় আনবেন। খ। কলকাতায় পাকিস্তান কর্মী এবং পরিবারবর্গকে আন্তর্জাতিক পরিবহনে করাচি যেতে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ সুযোগ দেবেন। গ। ইসলামাবাদের ভারতীয় হাইকমিশনের ব্যবস্থায় ভারতীয়রা করাচি থেকে দিল্লি যেতে পারবেন। পাকিস্তান অবশ্য ভারতকে এই অনুরোধও করেছে যে, পাক হাইকমিশনারকে যেন কলকাতার ডেপুটি হাইকমিশনের বাড়ি, সরকারী সম্পত্তি, তহবিল ও নথিপত্রের অধিকার দেওয়া হয়। ভারতীয় বৈদেশিক অফিসের অফিসাররা কিছুটা স্বস্তির নিশ্বাসও ফেলেছেন। কারণ এতে কূটনৈতিক যে বাধা সৃষ্টি হয়েছিল তার দূর হওয়ার লক্ষণ রয়েছে। এখন ভারতীয় কর্মী এবং তাঁদের পরিবারবর্গ যাতে ভারতে