পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (চতুর্দশ খণ্ড).pdf/৭৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

748 বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ চতুর্দশ খন্ড শিরোনাম সূত্র তারিখ ২৯০ | শরনার্থীদের ৬ মাস সাহায্য দিতে লাগবে আনন্দবাজার পত্রিকা ১৮ মে, ১৯৭১ ২০০ কোটি টাকা শরনার্থীদের ৬ মাস সাহায্য দিতে লাগবে ২০০ কোটি টাকা রাষ্ট্রপুঞ্জ দল সমীপে ভারত বিশেষ সংবাদদাতা নয়াদিল্লী, ১৭ মে-শ্রী চারলস মেস এর নেতৃত্বে রাষ্ট্রপুঞ্জ দলটি পূর্বাঞ্চলে ‘ব্যাপক সফর করে ংলাদেশ থেকে আগত শরণার্থী সমস্যা সম্পর্কে প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা অর্জন করে এসেছেন। আগামীকাল তাঁরা ভারত সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসবনে। বুধবার তাঁরা জেনিভার উদ্দেশ্যে যাত্রা করবেন এবং সেখানে পৌছে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব যথাস্থানে তাঁদের রিপোট পেশ করবেন। আজ সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা প্রসঙ্গে শ্রী মেস জানান যে, ভারত সরকার জানিয়েছেন, বাংলাদেশ থেকে আগত শরনার্থীদের (সংখ্যা আপাত তিরিশ লক্ষ ধরে নিয়ে) ছয় মাস ধরে সাহায্য দিতে খরচ পড়বে দু'শ কোটি টাকা। ভারত সরকার মনে করেন যে, এই সমস্যা “অস্থায়ী”। ছয় মাসের মধ্যে বাংলাদেশ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে এবং এই শরনার্থীরা সকলেই স্বস্থানে প্রত্যাবর্তন করতে পারবেন। শ্রী মেস বলেন, “শরণার্থীরা নিজের নিজের বাড়িতে ফিরে যাবেন-ভারতের প্রধানমন্ত্রীর এই আশার আমরাও অংশীদার।’ দলের অন্যতম সদস্য শ্রী টমাস জামিসন বলেন যে, ভারত সরকার ঠিক ছ’মাসের জন্য সাহায্য চেয়েছেন। ওই মেয়াদের বাইরে কোন আলোচনায় যেতেই ভারত অনাগ্রহী। ভারত সরকার বিশ্বাস করেন যে, ছ’মাসের মধ্যে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে যাতে শরণার্থীরা নিজেদের দেশে ফিরে যেতে চাইবেন। আমরা এই আশাবাদ সমর্থন করি।” দলের সদস্যরা “বাংলাদেশ” বা “পূর্ব পাকিস্তান” দুটি শব্দই এড়িয়ে চলেন বেশ সতর্কতার সঙ্গেই। শরণার্থীদের প্রসঙ্গে তাঁরা ‘বাড়ি”, “দেশ”, “নিজেদের জায়গা” প্রভৃতি শব্দ ব্যবহার করেন। ফিরে গিয়ে কি সুপারিশ তাঁরা করবেন তার কোন আভাস দলটি দেননি। তবে শ্রী মেস বলেন যে, সমস্যাটি “বিরাট’ এবং ভারত সরকার ‘‘মানবিক কারণেই’ শরণার্থীদের সাহায্য করছেন এবং এটা প্রশংসনীয়। কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী শ্রী আর কে খাদিলকর এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন যে, সরকার ছ’ মাসের জন্য সাহায্য চেয়েছেন। তবে কেন ছ’মাসের ভিত্তিতে সমস্যাটি মোকাবিলার কথা ভাবা হচ্ছে তা তিনি ব্যাখ্যা করেননি।