পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (চতুর্দশ খণ্ড).pdf/৮৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

799 বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ চতুর্দশ খন্ড শিরোনাম সূত্র তারিখ ৩১৮ সোয়েলের কাছে বাংলাদেশের স্বীকৃতি প্রশ্নটি কালান্তর ৬ জুন, ১৯৭১ ভাবাবেগজাতঃ সংখ্যালঘুদের জাতীয় কনভেনশনে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ। সোয়েলের কাছে বাংলাদেশের স্বীকৃতি প্রশ্নটি ভাবাবেগজাত সংখ্যালঘুদের জাতীয় কনভেনশনে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ। লক্ষৌ, ৬ জুন (ইউএনআই) - কাওয়াস বাগ বারাদরীতে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে ভারতের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়গুলির জাতীয় কনভেনশনের আজ সকালে উদ্বোধন হয়। লোকসভার সহকারী অধ্যক্ষ জি এস সোয়েল বলেন, বাংলাদেশ সরকারকে স্বীকৃতি দেওয়াটাই শেষ কথা নয়। যদিও সম্মেলনের উদ্যোক্তাদের অন্যতম দাবি হলো অবিলম্বে স্বীকৃতি দান। কনভেনশনের কাছে যারা শুভেচ্ছা বাণী পাঠিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী তাদের অন্যতম। তিনি ঐ প্রশ্নের সরাসরি জবাব এড়িয়ে বাংলাদেশ সম্পর্কে ভারত সরকারের সিদ্ধান্তগুলি সমর্থন করে সরকারের হাত শক্ত করার আহবান জানিয়েছেন। সহকারী অধ্যক্ষ শ্রী সোয়েল অবশ্য এ রকম একটা আভাস দিয়েছেন যে পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রী শরণ সিং-এর প্রত্যাবর্তনের পর বাংলাদেশের স্বীকৃতি দান সম্পর্কে একটা সিদ্ধান্ত হতে পারে। শ্রী সিং বিশ্বের বিভিন্ন রাজধানীতে ভারতের অভিমত জানাতে ও জানতে গেছেন। বক্তৃতা প্রসঙ্গে সোয়েল বলেছেন বাংলাদেশ সরকারের স্বীকৃতির প্রশ্নটি একটি ভাবাবেগজাত। তার ধারণা এর দ্বারা ভারত পশ্চিম পাকিস্তনের সামরিক জুন্টার ফাঁদে পা দেবে। কারণ পশ্চিম পাকিস্তান সমগ্র বিষয়টি সাম্প্রদায়িক রূপ দিতে চায়। সে জন্য শ্ৰী সোয়েঠের পরামর্শ হলো “বাংলাদেশের স্বীকৃতি” যা আদৌ শেষ কথা নয় তার জন্য উন্মুখ হয়ে না থেকে চরম লক্ষত সার্বভৌমতা, শান্তি ও সমৃদ্ধি কিভাবে অর্জন করা যায় সেজন্য কাজ করা। কনভেনশনের উদ্ধোধন করে কেন্দ্রীয় খাদ্য ও কৃষিমন্ত্রী ফখরুদ্দিন আলী আমেদ বাংলাদেশ সম্পর্কে ভারত সরকারের নীতি ব্যাখ্যা করে বলেন, এ লাড়াই অবাঙ্গালী বা অমুসলমানদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম নয়। একটা সামরিক রাজত্বের বিরুদ্ধে সমগ্র জনতার সংগ্রাম।