পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (চতুর্দশ খণ্ড).pdf/৯০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

874 বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ চতুর্দশ খন্ড সমস্যা সমাধানে উপনীত হতে হবে এ রকম কোন উল্লেখ না থাকায় অর্থ এই নয় যে, ভারত ও সোভিয়েট ইউনিয়ন পূর্ববঙ্গের ওপর কোন সমাধান চাপিয়ে দেবার পক্ষপাতী। পূর্ববঙ্গের বর্তমান অবস্থার কারণ বিশ্লেষণে ভারত ও সোভিয়েট ইউনিয়নের মতামত প্রায় অনুরূপ বলে সরকারী মহল মন্তব্য করেছেন। পূর্ববঙ্গের জনগণের পক্ষে গ্রহণযোগ্য সমাধানেই ভারত রাজী হবেন। বাংলাদেশের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সঙ্গে এই ব্যাপারে পাকিস্তান সরকার আলোচনা করুন সেটাই ঐ এলাকার জনগণের দাবি। সমাধান হিসেবে স্বাধীন বাংলাদেশ হোক অথবা অন্য কিছু হোক- বাংলাদেশের জনগণের গ্রহণযোগ্য সমাধানেই ভারত রাজী হবে। মার্কিন আঁতাত সম্পর্কে নীরবতা যুক্ত বিবৃতিতে কোন স্থানে চীন, মার্কিন-চীন আতাতের উদ্যোগ অথবা পাকিস্তান সম্পর্কে কোন কথা বলা হয়নি। তবে সীমান্ত বিরোধসহ সকল আন্তর্জাতিক সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানের কথা বলা হয়েছে। বলপ্রয়োগ অথবা বলপ্রয়োগের হুমকিকে অগ্রাহ্য করা হয়েছে। শান্তি, মৈত্রী ও সহযোগিতার ভারত-সোভিয়েট চুক্তিকে উল্লেখযোগ্য ঐতিহাসিক ঘটনা বলে বিবৃতিতে মন্তব্য করা হয়েছে। এশিয়া তথা বিশ্বে শান্তি বজায় রাখার সংগ্রামকে জোরদার করাই ভারত-সোভিয়েট শান্তি, মৈত্রী ও সহযোগিতার চুক্তির লক্ষ্য বলে বিবৃতিতে মন্তব্য করা হয়েছে। এশিয়া তথা বিশ্বে শান্তিরক্ষায় যাঁরা আগ্রহী এই চুক্তি তাঁদের সমর্থন লাভ করবে বলে বিবৃতিতে আশা প্রকাশ করা হয়েছে। নয়াদিল্লীতে সোভিয়েট পররাষ্ট্র মন্ত্রী মিঃ গ্রোমিকো রাষ্ট্রপতি শ্রী ভি, ভি, গিরি ও প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তিনি খাদ্য ও কৃষিমন্ত্ৰী শ্রী ফখরুদ্দিন আলি আহমেদ, অর্থমন্ত্ৰী শ্রী ওয়াই বি চ্যবন ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রী শ্রী জগজীবন রামের সঙ্গেও আলোচনা করেন।