বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র: দশম খন্ড
আমাদের প্রথম অধিবেশনের সভাপতি ছিলেন জনাব তাজউদ্দীন আহমদ। বাংলাদেশ বাহিনীর কমাণ্ডার-ইন-চীপ কর্নেল (অবঃ) এম, এ, জি, ওসমানী প্রথম দিনের অধিবেশনে যোগ দিতে পারেননি।
১২ই জুলাই দ্বিতীয় দিনের অধিবেশনে ছিলেনঃ
১। প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ।
২। কর্নেল (অবঃ) এম, এ, জি, ওসমানী।
৩। লেঃ কর্নেল এম, এ, রব।
৪। গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ, কে, খন্দকার।
৫। মেজর (অবঃ) নূরুজ্জামান।
৬। মেজর সি, আর, দত্ত।
৭। মেজর জিয়াউর রহমান।
৮। মেজর কে, এম, সফিউল্লাহ।
৯। মেজর খালেদ মোশাররফ।
১০। মেজর মীর শওকত আলী।
১১। উইং কমাণ্ডার এম, কে, বাশার।
১২। মেজর ওসমান চৌধুরী।
১৩। মেজর রফিক-উল-ইসলাম।
১৪। মেজর নাজমুল হক।
১৫। মেজর এম, এ, জলিল।
১৬। মেজর এ, আর, চৌধুরী।
দশ দিনব্যাপী সম্মেলনে যুদ্ধের বিভিন্ন দিক, বিভিন্ন ধরনের সমস্যা এবং ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করি। এই বৈঠকে লেঃ কর্নেল এম, এ, রব বাংলাদেশ বাহিনীর চীফ-অব-স্টাফ এবং গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ, কে, খন্দকার ডেপুটি চীফ-অব-স্টাফ নিযুক্ত হন।
সম্মেলনে গুরুত্বপূর্ণ যেসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিলো তা হচ্ছেঃ
১। বিভিন্ন সেক্টরের সীমানা নির্ধারণ।
২। নিম্নলিখিতভাবে গেরিলা যুদ্ধের আয়োজনঃ
অ্যাকশন গ্রুপঃ এই গ্রুপের সদস্যরা শত্রুর বিরুদ্ধে সরাসরি গেরিলা হামলা পরিচালনা করবে। তারা শতকরা ৫০ থেকে ১০০ ভাগ হাতিয়ার বহন করবে।
গোয়েন্দা সেনাঃ এই গ্রুপের গেরিলারা সাধারণতঃ সংঘর্ষে জড়িত হবে না। এরা শত্রুপক্ষের খবরাখবর সংগ্রহ করবে। এদের সাধারণতঃ শতকরা ৩০ ভাগের বেশী অস্ত্র থাকবে না।