পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (দশম খণ্ড).pdf/৩২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র : দশম খণ্ড
302

 এর পরপরই অমরখানা এবং বড়খাতাতে আক্রমণ চালানো হয়। দুই জায়গা থেকেই পাকিস্তান সেনাবাহিনী পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। বড়খাতার পতনের পর পাক সেনাবাহিনীর মনোবল একেবারে ভেঙ্গে যায়। তাদের বিভিন্ন ঘাঁটির দ্রুত পতন ঘটতে থাকে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মনোবল পুরোপুরি ভেঙ্গে গিয়েছিল। অমরখানা থেকে মুক্তিযোদ্ধারা পঁচাগড়, বোদা দখল করে ঠাকুরগাঁর দিকে অগ্রসর হয়। এ দলটার নেতৃত্ব দেন ক্যাপ্টেন শাহরিয়ার ও স্কোয়াড্রন লিডার সদরুদ্দীন। দলটি হাতিবান্ধা আক্রমণ করছিল। হাতিবান্ধা পতনের পর তারা ক্যাপ্টেন মতিউর রহমানের নেতৃত্বে লালমনিরহাটের দিকে অগ্রসর হয়।

 ভূরুঙ্গামারী পতনের পর মেজর নওয়াজেশের এই বাহিনীটি নাগেশ্বরী দখল করে এবং ধরলা নদীর উত্তর পাশে পৌঁছায়।

 এ ছাড়াও আরও দুটি গেরিলা বাহিনীর দুটো কলাম ফ্লাইট লেঃ ইকবালের নেতৃত্ব চিলাহাটি দিয়ে ডোমার, ডিমলা এগুলো দখল করে নিলফামারীর দিকে অগ্রসর হয়। মোগণহাট থেকে আর একটি কলাম ক্যাপ্টেন দেলোয়ারের নেতৃত্বে লালমনিরহাটের দিকে অগ্রসর হয়।

 রংপুর, সৈয়দপুর সেনানিবাস ছাড়াও ৬নং সেক্টরের সমস্ত এলাকা ১৬ই ডিসেম্বরের আগে মুক্ত হয়।

স্বাঃ খাদেমুল বাশার
১৫-৫-১৯৭৩