পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (দশম খণ্ড).pdf/৩৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

348 বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র : দশম খন্ড তিনঃ হামজাপুর সাব-সেক্টর ক্যাপ্টেন ইদ্রিস সাব-সেক্টর কমাণ্ডার ছিলেন। ক্যাপ্টেন রশিদ সাব-সেক্টর কমাণ্ডার নিযুক্ত হন। পাঁচঃ ভোলাহাট সাব-সেক্টর লেঃ রফিকুল ইসলাম এই সাব-সেক্টর কমাণ্ডার ছিলেন। ছয়ঃ মালন সাব-সেক্টর প্রথম দিকে ক্যাপ্টেন মহিউদ্দন জাহাঙ্গীর সাব-সেক্টর কমাণ্ডার ছিলেন। পরে একজন সুবেদার এই সাব-সেক্টরের কমাণ্ডার করেছেন। সাতঃ তপন সাব-সেক্টর মেজর নজমুল হক প্রথম দিকে কমাণ্ডারের দায়িত্ব পালন করেন। পরে একজন সুবেদার সাব-সেক্টর কমাণ্ডার ছিলেন। আটঃ ঠোকরাবাড়ী সাব-সেক্টর নয়ঃ আংগিনাবাদ সাব-সেক্টর গণবাহিনীর জনৈক সদস্য মিত্রবাহিনীর তত্ত্বাবধানে কমাণ্ড করেছেন। সেক্টরের প্রতিটি সাব-সেক্টর এলাকায় প্রচণ্ড যুদ্ধ চলে। অতর্কিত আক্রমণ অ্যামবুশ ও সেতু ধ্বংস করে মুক্তিবাহিনী এক অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করে। মে মাসে খঞ্জনপুর, পত্নীতলা, ধামহাট, গোদাগাড়ী, চারঘাট, সারদা পুলিশ একাডেমী, পুটিয়া দুর্গাপুর ও কাটাখালী বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বার বার আক্রমণ করা হয়। পাকবাহিনীর মনোবল দারুণভাবে ভেঙ্গে পড়ে। দিনাজপুরের ঠনঠনিয়াপাড়ায় একটি বড় রকমের যুদ্ধ হয় ১৮ই জুন মেজর নজমুল হক নিজে এই যুদ্ধ পরিচালনা করেছিলেন। ঠনঠনিয়াপাড়া মুক্তিবাহিনীর দখলে আসে এবং ১৪জন পাকসেনা নিহত হয়। একজন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন ও ২ জন আহত হন। জুলাই মাসের ৪ তারিখে মেজর নজমুল হক কাঞ্চন সেতুর উপরে পাক ঘাঁটি আক্রমণ করেন। এই আক্রমণ যদিও সফল হয়নি তবু পাকসেনাদের কলাবাড়ি ছেড়ে কানসাটে পলায়ন করে। ক্যাপ্টেন ইদ্রিস ও সুবেদার মেজর মজিদ ২৩শে আগষ্ট কানসাট আক্রমন করেন। এই ভয়াবহ যুদ্ধ চার ঘন্টা স্থায়ী হয়। প্রচুর পাকসেনা হতাহত হয়। চাঁপাই নওয়াবগঞ্জ থেকে অনেক পাকসেনা সাহায্যে এগিয়ে আসে।