পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (দশম খণ্ড).pdf/৫০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

476 বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র : দশম খন্ড শিরোনাম সূত্র তারিখ ২১। জেড ফোর্স গঠন ও তার যুদ্ধ বাংলা একাডেমীর দলিলপত্র | ... Տի, ԳՏ তৎপরতা। সাক্ষাৎকারঃ মেজর অলি আহমেদ* মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের প্রথম ব্রিগেড জেড ফোর্স গঠিত হয় ৭ই জুলাই। মেজর জিয়াউর রহমানের নামানুসারে এই ব্রিগেডের নামকরণ করা হয় জেড ফোস (জিয়া ফোস)। বাংলার স্বাধীনতা যুদ্ধে জেড’ ফোস এক বিশেষ অবদান রেখেছে। এই ফোর্সে তিনটি নিয়মিত পদাতিক বাহিনী ছিলো- যথাক্রমে ১ম ইষ্ট বেঙ্গল, ৩য় ইষ্ট বেঙ্গল এবং ৮ম ইষ্ট বেঙ্গল ব্যাটালিয়ন। ব্রিগেড কমান্ড করেন তৎকালীন মেজর জিয়াউর রহমান (বর্তমান মেজর জেনারেল)। আমি নিজে ব্রিগেডের ব্রিগেড মেজরের দায়িত্ব পালন করি। ১ম ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে যেসব অফিসার কর্তব্য পালন করেছিলেন তাঁরা হলেনঃ কমান্ডিং অফিসারঃ মেজর মঈনুল হোসেন চৌধুরী। আগষ্ট মাস থেকে মেজর জিয়াউদ্দিন এই ব্যাটালিয়নের দায়িত্ব নেন। মেজর জিয়াউদ্দিন পাকিস্তান থেকে পালিয়ে এসে বাংলার মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। সেকেন্ড-ইন-কমান্ডঃ ক্যাপ্টেন বজলুল গণি পাটোয়ার এ্যাডজুট্যান্ট এবং কোয়াটার মাষ্টারের দায়িত্ব পালন করেন ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট লিয়াকত আলী খান। ব্যাটালিয়নে ৪টি কোম্পানী যাঁরা কমান্ড করেছেন তাঁরা হলেনঃ ‘এ’ কোম্পানী কমান্ডারঃ ক্যাপ্টেন মাহবুব। ‘বি’ কোম্পানী কমান্ডারঃ ক্যাপ্টেন হাফিজউদ্দীন। ‘সি’ কোম্পানী কমান্ডারঃ ক্যাপ্টেন আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী। ‘ডি’ কোম্পানী কমান্ডারঃ ক্যাপ্টেন বজলুল গণি পাটোয়ারী। লেঃ আনিসুর রহমান এবং লেঃ এম, ওয়াকার হাসানও এই ব্যাটালিয়নে কাজ করেছেন। ৩য় বেঙ্গল ব্যাটালিয়নে যাঁরা দায়িত্ব পালন করেছেন তাঁরা হলেনঃ কমান্ডিং অফিসারঃ মেজর শাফায়েত জামিল। সেকেন্ড ইন- কমান্ডঃ ক্যাপ্টেন মহসীন। ‘এ’ কোম্পানী কমান্ডারঃ ক্যাপ্টেন আনোয়ার হোসেন। ‘বি’ কোম্পানী কমান্ডারঃ ক্যাপ্টেন আকবর হোসেন। ‘সি’ কোম্পানী কমান্ডারঃ ক্যাপ্টেন মহসীন। ‘ডি’ কোম্পানী কমান্ডারঃ লেঃ নুরুন্নবী চৌধুরী।

  • ১৯৭১ সালে ক্যাপ্টেন হিসেবে ৮ বেঙ্গলে কর্মরত ছিলেন।