পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (দশম খণ্ড).pdf/৫২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

504 বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র : দশম খন্ড সুবেদার আবদুল লফিত (বীর প্রতীক), ল্যান্স নায়েক আবুল বাশার (বীর প্রতীক) ও হাবিলদার আবদুল লতিফ (বীর প্রতীক) ১৫ই ডিসেম্বরঃ সিলেট শহরের উপর পাকবাহিনীর এই চরম পরাজয়ে তাঁদের মনোবল একেবারেই ভেঙ্গে যায়। যার ফলে পরদিনই পাকিস্তানী কমান্ডারগণ আমাদের এবং মিত্র বাহিনীর কাছে আত্মসমৰ্পন করে। আমরা বিজয়ীর বেশে সিলেট শহরে প্রবেশ করি এবং শহরের জনগণের মনে বিপুল আশা ও উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়। হাজার হাজার জনতা আমাদেরকে স্বাগত জানাতে থাকে। ১৬ই ডিসেম্বরঃ পাকবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার রানা ব্রিগেড নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে আমাদের এবং মিত্র বাহিনীর যৌথ কমান্ডের কাছে আত্মসমর্পনের করে। এভাবে আমাদের নয় মাস যুদ্ধের পরিসমাপ্তি ঘটে এবং স্বাধীনতা অর্জন করি। আমাদের সৈন্যরা বিভিন্ন অসুবিধার সম্মুখীন হয়েও অসীম সাহসিকতার ও ত্যাগের পরিচয় দেয়। আমাদের তরুণ অফিসারগণ অসীম সাহসিকতা প্রদর্শণ করেন এবং ত্যাগ ও বীরত্বের নিদর্শণ স্থানপ করেন। তার প্রমাণস্বরুপ বলা যেতে পারে যে, এ ব্যাটালিয়নের তিনজন অফিসার সম্মুখসরে শহীদ হন এবং আরও তিনজন অফিসার গুরুতররুপে আহত হন। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে খুব কম ব্যাটালিয়নই এ ধরনের নেতৃত্ব দিয়েছে এবং যুদ্ধ পরিচালনা করেছে। মুক্তিযুদ্ধের দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধে এই ব্যাটালিয়ন অসাধারণ কৃতিত্ব ও নৈপুণ্য প্রদর্শণ করে বহু শত্রসৈন্যকে হতাহত এবং জীবিত অবস্থায় বন্দী করে। বাঙ্গালী সৈন্যরা গতানুগতিক সম্মুখযুদ্ধেও যে যথেষ্ট দক্ষ, তা এই ব্যাটালিয়নদের সৈন্যরা স্বীয় শৌর্যবীর্য এবং ত্যাগের মাধ্যমে প্রমাণ করেন। স্বাক্ষরঃ হাফিজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন こbrーのb-〉b" ○ সাক্ষাৎকারঃ মেজর আবদুল হালিম ఎఎ-SS-Sసి AS) ‘জেড ফোর্সের সিগনাল তৎপরতা সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে তৎকালীন কমান্ডার-ইন-চীফ, কর্ণেল এম,এ,জি ওসমানী সাহেবের আদেশ মোতাবেক জেড ফোর্সে সিগনাল কোম্পানীর কমান্ডার হিসাবে যোগদান করি। যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে এটাই প্রথম সিগনাল কোম্পানী। জেড ফোর্সের অধীনে ৩টি পুরা ব্যাটালিয়ন আছে। অধিনায়ক ছিলেন অভাব। তাছাড়া সিগনালের জোয়ানের সংখ্যা ছিল কম। যুদ্ধক্ষেত্রে এক রণক্ষেত্র হইতে অপর প্রান্তে সংবাদ পৌছাইতে ছিল গাড়ির অভাব। তবুও আপ্রাণ চেষ্টার পর সুষ্ঠুভাবে সিগনাল কোম্পানী গঠন করিতে সক্ষম হই। অক্টোবর মাস হইতে যুদ্ধক্ষেত্রের সংবাদ ব্যাটালিয়ন হেডকোয়ার্টর ও ব্রিগেড হেডকোয়ার্টারে পৌছাই। আমার সিগনাল কোম্পানীতে সিগনাল কোরের সৈনিক খুব কম থাকায় প্রাথমিক অবস্থায় কিছুটা অসুবিধা হলেও পরের দিকে সুষ্ঠুভাবে সংবাদ পরিবেশন করি। অক্টোবর মাসের শেষের দিক হইতে সিগনাল কোম্পানী জেড ফোর্স এর অষ্টম বেঙ্গল রেজিমেন্টের সহিত তাহাদের প্রত্যেকটি রণাঙ্গনে সংকেত পরিবেশের দায়িত্ব পালন করে। ইহার মধ্যে সিলেট জেলার বড়লেখা, ফুলতলা, আদমটিলা, বিয়ানীবাজার যুদ্ধ উল্লেখযোগ্য। স্বাক্ষরঃ আবদুল হালিম মেজর ૨૨-XX-૧૭