পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (দ্বাদশ খণ্ড).pdf/২৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বাংরাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ দ্বাদশ খণ্ড
২৩৬

ব্যবস্থা করছি, অথচ এখানে এখন বেঁচে রয়েছে, নতুন করে সৃষ্টি হচ্ছে, এই কথা তাঁরা আমাদের বললেন। আমরা বললাম, আপনাদের ওখানে সাংবাদপত্র যায় না এবং সুযোগ না থাকায় আপনারা অনেক খবর জানেন না, আপনারা নিজেরা ঘুরে ঘুরে সমস্ত দেখুন, আপনাদের অনেক নতুন অভিজ্ঞতা হবে। কিন্তু এটা তো সত্যিকারের প্রশ্ন যে, মুসলিম লীগ যারা ধর্মের বিচারে মানুষের রাজনীতি করেন, মানুষকে ভাগ করবার চেষ্টা করেন, সেই পুরানো জিনিস আজও চলছে এবং নতুন করে তার রিভাইভ্যাল বা পুনরুজ্জীবন আমরা দেখতে পাচ্ছি।

 শ্রীমহঃ শামন বিশ্বাসঃ অন এ পয়েণ্ট অব অর্ডার, স্যার, আমরা কোয়ালিশন মিনিস্ট্রিতে অংশগ্রহণ করেছি জনকল্যাণের জন্য। আজকে বিরোধী দলের সভাপতি যে বক্তব্য রাখলেন, উই হ্যাভ গিভেন ইউ এ পেসেণ্ট হিয়ারিং, অ্যাণ্ড উই হোপ ইউ উইল অলসো গিভ আস এ পেসেণ্ট হিয়ারিং।

 মিঃ স্পীকারঃ এতে পয়েণ্ট অব অর্ডার হয় না। আমরা সর্বসম্মতিক্রমে একটা প্রস্তাব পাশ করবার জন্য রেজলিউশন নিয়েছি। আপনি প্রিসাইজলি আমাকে বলুন।

 শ্রীমহঃ শামন বিশ্বাসঃ উনি ডাইরেক্টলি আক্রমণ করেছেন। একজন লিডারের মুখ থেকে এইসব ভাষা আমরা শুনতে চাই না। এই রকম চিৎকার করে কোনদিন জনকল্যাণ করা যায় না। আই ডু নট লাইক টু সারেণ্ডার মাইসেল্ফ।

 মিঃ স্পীকারঃ ইট ইজ নট এ পয়েণ্ট অব অর্ডার। প্লিজ টেক ইওর সিট।

 শ্রীমহঃ শামন বিশ্বাসঃ আমরা গণতান্ত্রিক ধর্মনিরপেক্ষতার আদর্শে বিশ্বাসী বলেই আজকে গণতান্ত্রিক কোয়ালিশন সরকারে অংশগ্রহণ করেছি।

 মিঃ স্পীকারঃ আপনি বসুন। আপনার বক্তব্য যেটা আপনি বলেছেন দেয়ার ইজ নো পয়েণ্ট অব অর্ডার। কাজেই মাঝখানে আপনি কমেণ্ট করবেন এটা আমি চাই না। আই উইল রিকোয়েস্ট ইউ টু টেক ইওর সীট। প্লিজ টেক ইওর সীট।

 শ্রীসুবোধ ব্যানার্জিঃ স্পীকার মহাশয়, আজকে যে প্রস্তাব আমরা আলোচনা করছি সেখানে আমি সরকার পক্ষ এবং বিরোধী পক্ষের সদস্যদের অনুরোধ করব, যে বিষয় নিয়ে আমরা আলোচনা করছি সেটা অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এবং আমাদের কাছে এটা অতি প্রিয়। কাজেই এটা আমাদের গণআন্দোলনের সামনে একটা অতি বড় উদাহরণ উপস্থাপিত করেছে। সেইজন্য এইরকম একটা বিষয় নিয়ে সকলের যুক্ত চেষ্টায় ইউন্যানিমাস রেজলিউশন করা হয়েছে। তাই আমি অনুরোধ করব সেই ফিলিং নষ্ট করে দেবেন না।

 মিঃ স্পীকারঃ মিঃ ব্যানার্জি, আমি আশা করি প্রত্যেকটি সদস্যের তেমনি মনোভাবই থাকবে। আমরা যেন অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে এই প্রস্তাব আলোচনা করি। কোনরকম উত্তেজিত না হয়ে আমাদের সামনে এই হাউসের সামনে যে প্রস্তাব রয়েছে, সেই সম্পর্কে আলোচনার সময় প্রস্তাবের উপর যথোচিত গুরুত্ব দিয়েই যেন মাননীয় সদস্যরা আলোচনা করেন এবং তাঁদের ব্যবহারটাও যেন সেইভাবেই হয়। আমি হাউসের কাছে আপীল করছি, যে প্রশ্নই উঠুক না কেন আমরা হাউসেতে যেভাবে প্রস্তাব নিচ্ছি, তার গুরুত্ব যেন কোনরকমেই খর্ব না হয়।

 শ্রী জ্যোতি বসুঃ মিঃ স্পীকার, স্যার, আমি যেটা বলছিলাম- তার জবাব নিশ্চয়ই পাব যখন মুসলিম লীগের প্রতিনিধিরা বক্তিতা দেবেন যদি আন্তরিকতা থাকে। এমন কি ডেমোক্রেটিক কোয়ালিশন সরকার সম্বন্ধে যদি তাদের আন্তরিকতা থাকে, বাংলাদেশকেও সমর্থন করবেন যদি আন্তরিকতা থাকে। সেটাও গুরুত্বপূর্ণ। কংগ্রেস দল তাঁরা সমর্থন করছেন এই প্রস্তাবকে। তাঁরা শুধু এইি প্রস্তাবকে সমর্থন করছেন না, এখানকার কংগ্রেস সরকার বা ডেমোক্রেটিক কোয়ালিশন সরকার, কংগ্রেসের দ্বারা পরিচালিত সরকার তাঁরা যখন সরকার গঠন করেছিলেন, তখন প্রথমেই বাংলাদেশ সম্পর্কে একটা প্রস্তাব গ্রহণ করে দিল্লীতে পাঠিয়েছেন। আমরা দেখছি আনুষ্ঠানিক দিক থেকে এই কংগ্রেস সরকারের বাংলাদেশের সংগ্রামের প্রতি সমর্থন আছে- সে বিষয়ে কোন