পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (দ্বাদশ খণ্ড).pdf/২৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বাংরাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ দ্বাদশ খণ্ড
২৫৫

 শ্রী সুব্রত মুখার্জিঃ স্যার, আমি অবজেকশন দিচ্ছি। মাননীয় সদস্যকে এটা উইথড্র করতে হবে। আপনি উইথড্র করতে বলুন।

(গোলমাল)

 মিঃ ডেপুটি স্পীকারঃ নো মেম্বার সুড মেক এনি স্টেটমেণ্ট হুইচ এ্যাফেক্টস দি সেণ্টিমেণ্ট অব আদার্স।

 ডাঃ জয়নাল আবেদিনঃ মাননীয় উপাধ্যক্ষ মহাশয়, অন এ পয়েণ্ট অব অর্ডার। আপনি জানেন মুসলমানদের কিছু অবশ্য কর্তব্য আছে এবং আজকে যে উক্তি করলেন এবং বিরোধী দলের মাননীয় নেতা, উপনেতা এরা বসে আছেন, একটা ধর্মের উপর আঘাত করা হয় যেটা আমাদের ধর্ম বলে মনে করছি এবং সেটা গর্হিত বলে মনে করছি। মাননীয় উপাধ্যক্ষ মহাশয়, আজকে যে গুরুতর বিষয় আলোচনার অবতারণা করা হয়েছে, এটার এত বেশি গুরুত্ব যে, আজকে এই টীকা-টিপ্পনিতে মনোযোগ দেবার অবকাশ নেই। কিন্তু যে বক্তব্য উনি রেখেছেন, এটা গর্হিত বক্তব্য এবং এটা এখানে চলে না। আমি আপনাকে অনুরোধ করবো যে, উনি যদি এই উক্তি প্রত্যাহার না করেন তাহলে এটা প্রসিডিংস থেকে এক্সপাঞ্জ করে দেবেন। এইটুকুই আমার সাবমিশন।

 মিঃ ডেপুটি স্পীকারঃ কোন সেনটেন্স-এ যদি অপর পক্ষের কারো সেণ্টিমেণ্টে কোথাও আঘাত লাগে এবং মনকষ্ট হয় তাহলে আমার মনে হয় এটা করা উচিত নয়। যদি করা হয়ে থাকে তাহলে উইথড্র করা উচিত।

 শ্রী মনসুর হবিবুলস্নাঃ মাননীয় উপাধ্যক্ষ মহাশয়, এই প্রসঙ্গে এখানে আলোচনা হবে কি? কার কিসে আঘাত লাগে, কে পার্টির নাম মুসলিম রাখে, কে হিন্দুমহাসভা করেন, তখন তার সেটা মনে রাখা উচিত পরে এটা নিয়ে সমালোচনা করা চলে না।

(গোলমাল)

 তখন তাকে বুঝতে হবে, তখন মনে রাখা উচিত। কাজেই এখানে ঐ প্রসঙ্গে আলোচনা হবে না। রেজলিউশন-এ আলোচনা হবে, এটা আগে ঠিক করুন। ......

 শ্রীমতি গীতা মুখার্জিঃ মাননীয় উপাধ্যক্ষ মহাশয়, যে বিষয় এখানে আলোচনা হচ্ছে তার গুরুত্ব সমধিক নয়, হিন্দু-মুসলমানের দৃঢ়তম ঐক্যের ভিত্তিতে একমাত্র এখানে জয় সম্ভব। সেজন্য আশা করবো সকল পক্ষ থেকে যেন এই আলোচনার মধ্যে আর এই ধরনের কোন কথা না হয় এবং এ প্রস্তাবের উপযুক্ত মর্যাদা থাকে।

 শ্রী দেবীপ্রসাদ বসুঃ স্যার, আমি মুসলীম লীগ সম্বদ্ধে গভীর শ্রদ্ধা পোষণ করে থাকি। তার কারণ, আমাদের ভিতরে প্রচুর মুসলমান সদস্য আছেন, কংগ্রেসের মধ্যে আছেন, অন্য দলের মধ্যে আছেন। কারো সমন্ধে কোন মুহূর্তে আমি কটাক্ষপাত করিনি কোন ধর্ম সম্বন্ধে, এটা মাননীয় মন্ত্রী জয়নাল আবেদিন মহাশয় জানেন। আমি যেটি বলতে চেয়েছিলাম সেটা হচ্ছে গোবিন্দ মণ্ডল মহাশয়কে দিয়ে মুসলিম লীগের বক্তব্য না রেখে মুসলিম লীগের একজন দায়িত্বজ্ঞানসম্পন্ন সদস্য তিনি এই বক্তব্য রাখুন। তাতে নাম বলতে না পেরে তাড়াতাড়িতে আমি বললাম যে, যার মুখে দাঁড়ি রয়েছে তিনি উঠে বলুন। এতে যদি কেউ আঘাত পেয়ে থাকেন তাহলে আমি এই কথা প্রত্যাহার করে নিচ্ছি।

 শ্রী রাধাগোবিন্দ বিশালঃ মাননীয় অধ্যক্ষ মহাশয়, আজকে সরকার পক্ষ থেকে বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রামের সমর্থনে এবং স্বাধীনতার সমর্থনে তাঁদের সাহায্য দেওয়ার সমর্থনে সরকার পক্ষ থেকে যে প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছে তাকে সর্বান্তঃকরণে সমর্থন করে আমি দু-একটি কথা বলতে চাই। আমরা যারা এই প্রস্তাব সমর্থন করতে উঠেছি তাঁদের বক্তৃতার মধ্যে কেউ এই আন্তরিকতা সম্পর্কে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন, আবার অনেক সাম্প্রদায়িকতার উক্তিও হচ্ছে, আবার পশ্চিম বাংলায় কেন্দ্রীয় সরকারের ঠিক অনুরূপভাবে জেহাদ