| শিরোনাম | সূত্র | তারিখ |
|---|---|---|
| বাংলাদেশকে স্বীকৃতির প্রশ্নে ভারতের বিশিষ্ট আইনজ্ঞও শিক্ষাবিদদের অভিমতৎ অবিলম্বে বাংলাদেশকে স্বীকৃত দেওয়া উচিত | দৈনিক আনন্দবাজার | ২০ মে ১৯৭১ |
বাংলাদেশকে অবিলম্বে স্বীকৃতি দেওয়া উচিত
বিশিষ্ট আইনজ্ঞ ও শিক্ষাবিদদের মত
(বিশেষ সংবাদদাতা)
নয়াদিলী, ১৯ মে-কয়েকজন বিশিষ্ট আইনজ্ঞ ও শিক্ষাবিদ বাংলাদেশকে অবিলম্বে স্বীকৃতি দানের জন্য জোরালো যুক্তি খাড়া করেছেন।
এই আইনজ্ঞ ও শিক্ষাবিদদের মধ্যে আছেন শ্রী এম সি চাগলা, শ্রী এম সি কে দকভরি, শ্রী ভে কে কৃষ্ণ মেনন ও ডঃ এল এ সিংভী। আর একজন বিশিষ্ট আইনবিদ শ্রী এম সি শীতলাবাদ অবশ্য এ ব্যাপারে সতর্কতার সঙ্গে অগ্রসর হতে বলেছেন। বাংলাদেশের উপর সংবিধান ও সংসদ বিষয়ক পঠন সংস্থা একটি বই বার করেছেন। তাতে প্রকাশিত নিবন্ধনগুলিতেই এই যুক্তি দেওয়া হয়েছে।
শ্রী চাগলা স্বীকৃতির পক্ষে যুক্তি দিয়ে বলেছেন নৈতিক, আইনগত, রাজনৈতিক এবং অপরাপর দিক থেকেও ভারতের উচিত তাড়াতাড়ি এড়িয়ে গিয়ে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়া। যখন আমি মাঝে মাঝে সরকারী মহল থেকে বলতে শুনি আমাদের সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে, অপেক্ষা করতে হবে এবং দেখতে হবে অপরাপররা কী করছেন, তখন আমার রক্ত টগবগ করে ফুটে ওঠে। এই একটি মহান কারণে ভারতেরই উচিত এগিয়ে গিয়ে সব কিছু করা।
প্রাক্তন বহিবিষয়ক মন্ত্রী বলেছেন, আমাদের সময়ে এই সবচেয়ে বড় সংকটের দিনে, আমরা যদি সঠিক কাজ করতে না পারি তবে ইতিহাস আমাদের ক্ষমা করবে না।
প্রাক্তন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী শ্রীকৃষ্ণ মেনন বলেন, স্বীকৃতিদানের প্রশ্নটি এটা আইনসম্মত কি না তা নিয়ে যুক্তিতর্ক করার ব্যাপার নয়। যারা জনসাধারণের স্বাধীনতাকে দলন করে তাদের ক্ষেত্রে আইন প্রয়োগ করার দিন চলে গেছে। একটা বিপবের সময় আইন বা বিধির প্রশ্ন উঠতে পারে না। তাহলে ফরাসী শাসন থেকে আলজিরিয়া মুক্ত হতে পারত না। বৃটিশদের তাড়াবার সময়েও আমরা আইনের কচকচিত মাথা ধরাইনি।
ভারতের একজন অ্যাটরনি জেনারেল শ্রী শীতলবাদ অবশ্য বলেছেন পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধ বাধতে পারে, এমন একটা অবস্থায় আমাদের টেনে নেওয়া যেতে পারে কিনা, তা সতর্কতার সঙ্গে বিবেচনা করে দেখতে হবে।
আর একজন প্রাক্তন অ্যাটান জেনারেল শ্রী সি কে দফতরী তাঁর সঙ্গে একমত হননি।
