পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (দ্বাদশ খণ্ড).pdf/৭১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

とかbrbr বাংরাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ দ্বাদশ খন্ড এ ব্যাপারে আমি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে, উথান্ট ও সকল বিদেশী দুতাবাসের কাছে, সকল রাজনৈতিক দলে কাছে পত্র লিখেছি। শ্রী অর্জনু অরোরাঃ একটু পড়ে শোনানো। শ্রী রাজনারায়নঃ অন্য কোন দিন পড়ে শোনাব। আমি লিখেছি, স্বাধীন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিতে আপনাদের সরকার এগিয়ে আসছে না কেন? আপনারা কেন অগ্রবর্তী হচ্ছে না? মহোদয়, ৯ আগষ্ট, ১৯৪২ আমরা ইংরেজদের স্বীকার নিয়েছিলাম। ইংরেজ সাম্রাজ্যবাদের অবসান ঘটানোর জন্য আমরা চিরদিনের জন্য কিতাব বন্দ করে দিয়েছিলাম। ১৯৭১ সালের ৯ আগষ্ট আমরা ইয়াহিয়া খার... স্বীকার করে নিয়ে সক্রিয়ভাবে তার বিরোধিতায় অনশন করা ঘোষণা দিয়েছি। ......১লা এপ্রিল, ২ এপ্রিল, ৩ এপ্রিল এমন কোনদিন যায়নি যেদিন আমরা বাংলাদেশের প্রশ্ন তুলিনি। ২রা জুন আমরা সত্যাগ্ৰহ করেছি। এই সরকারকে প্রভাবিত করার জন্য আমরা যত উপায় ও সাধন ছিল সবই প্রয়োগ করেছি, এখন আপনি বলুন আমরা কি করব। শ্রী শীলভদ্র ইয়াজীর ভাষণে জনগণ এমন নিস্ক্রিয় হয়ে পড়েন যে ভারত সরকারকে আর প্রভাবিত করতে পারেন না, এরূপ একটি বৃহৎ ও সঠিক কার্য করার জন্য আমাদের পূর্ণ অধিকার আছে, ৯ আগষ্ট আমরা অনশন শুরু করব। আমি বিনয়ের সাথে বলছি যে আমরা কারো সাথে চ্যালেঞ্জ করছি না। আমরা কারো ওপর প্রভাব বিস্তার করার জন্য কোন কাজ করি না। আমার পত্রে আমি লিখেছি, প্রধানমন্ত্রীকেও লিখেছি যে আমরা নিজেদের মধ্যে আত্মশক্তি সৃষ্টির জন্য, দেশের নাগরিকদের মধ্যে আত্মশক্তি সৃষ্টির জন্য এই পবিত্র ও পূণ্য কাজ করতে যাচ্ছি। এই পরিষদের সম্মানিত সদস্যগণের মধ্যে যারা সত্যিকারভাবে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদানের পক্ষপাতি, সর্বতোপায়ে তাকে সহায়তাদানের পক্ষপাতি, এবং বাংলাদেশে গণহত্যার ঘটনাবলীতে উদ্বিগ্ন ও সহানুভূতি সম্পন্ন তাঁদের উচিত শুধু মৌখিক সহানুভূতি না দেখিয়ে সক্রিয়ভাবে কিছু করা। ...ভারত সরকার এযাবত স্বাধীন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি না দেয়ার জন্য আমি তাকে ভৎসনা করি। তার নিন্দা করি আমি আরো বলব, এই সরকার দেশহিতের ভাবনামুক্ত। আনন্দ স্ফর্তির জীবন সে যাপন করছে এ জীবন শেষ হয়ে না যায় এই তার চিন্তা। এদেশের জনগণকে উদ্বুদ্ধ করার জন্য আমি ভারত সরকারের নিন্দা করছি। আজ এই শেষ সময়ে আমি সর্দার শরণ সিংহ মহাশয়ের মুখ থেকে এ বানীই আশা করছি যে ভারত সরকার বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিচ্ছেন, সর্বপ্রকার সাহায্য করছেন এবং বিশ্বের সকল দেশকে স্বীকৃতি দেবার জন্য আহবান জানাচ্ছেন। হায়াতুল্লা আনসারীঃ ডেপুট চেয়ারম্যান সাহেব, এখানে একটি কথা এসে গেছে যা আমি আগে ভাবিনি। সেটি হচ্ছে রাজনারায়ন বাবুর মন্তব্য যে মুসলমান সহযোগিতা করবে না। শ্রী রাজনারায়নঃ আমি বলিনি। হায়াতুল্লা আনসারীঃ তিনি বলেছেন মুসলমান সহযোগিতা করবে না। শ্রী রাজনারায়নঃ বৈধতার প্রশ্নে, আমি যখন বলছি যে আমি বলিনি তবুও মাননীয় সদস্য বলে যাচ্ছেন যে, আমি বলেছি। আমি এই বলেছি যে, যে সকল মুসলিম আজ তাদের স্বীকৃতি দিতে প্রস্তুত নয় এবং আজ স্বাধীন বাংলাদেশের সাড়ে ছয় কোটি মুসলমানের ওপর যে অত্যাচার চলছে সে কারণে যে সকল মুসলিমের মনে আগুন জুলে না তারা মুসলমান নয়। হায়াতুল্লা আনসারীঃ আমি রাজনারায়ন বাবুকে জিজ্ঞেস করতে চাই, এমন কি উপায বের করা যায় যার দ্বারা মুসলমানগণ দেখাতে পারবে বাংলাদেশের ব্যাপারে তাদের ইম্প্রেশন আর সকলের অনুরূপ। দেখুন, এ প্রশ্নে আমরা খুব সিরিয়াসলি চিন্তা ভাবনা করেছি। আমরা চাই মুসলমানদের একটি মহাসম্মেলন ডাকা হোক।