পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (দ্বাদশ খণ্ড).pdf/৭৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Գo8 বাংরাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ দ্বাদশ খন্ড it good enough and also, if need also, if need be, confer personally with some of the great leaders of other countries and in particular the Secretary general of the United Nations. May I expect Sir, in this great hour she would rise above all small things and represent this country and its great people and the Parliament and so that the tragedy that is impending against this great man is averted? ডঃ ভাই মহাবীর (দিল্লী): মহোদয়, সরকার আসছেন, যা কিছু সম্ভব তা করা হচ্ছে, আর এই পরিষদের সকল দলের প্রতিনিধিগণ বলেছেন, কার গুরুত্ব উপলব্ধি করে সরকার অধিক থেকে অধিকতর যা কিছু পারেন যেন করেন, আমি মনে করি এখানেই প্রসংগের ইতি টানা উচিত নয়। বিষয়টি আরো এগিয়ে নেয়া আবশ্যক নতুবা এখান থেকে আমরা কাজ সেরে চলে যাব আর ইয়াহিয়া খান ওদিকে তার দুরভিসন্ধি চালিয়ে যাবেন। আমি মন্ত্রী মহোদয়রে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই যে দেশবাসীর প্রত্যাশা ছিল প্রকাশিত যুক্ত ইশতেহারের ভাষা আরো দৃঢ় হবে, শেখ মুজিবুর রহমানের প্রাণ রক্ষা ও মুক্তি প্ৰসংগ অত্যন্ত কার্যকরী ভাবে উল্লেখিত হবে। মনে হয়, এ প্রসংগে আমাদের সরকারের বক্তব্য আগে যা ছিল তা আরো নরম হয়ে গেছে, হতে পারে, সাংবিধানিক দিক থেকে কোন অপারগতা ছিল, মহোদয়, প্রশ্নটি কোন বিশেষ সাংবিধানিক অপারাগতায় আবদ্ধ থাকার মত নয়, মন্ত্রী বলেছেন, মিঃ গ্রোমিকো দেশে ফিরে গিয়ে তার সরকারের সংগে এ ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করার অংগীকার করেছেন। দুদিন আগে সর্দার শরণ সিংহকে আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম মুজিবুর রহমান সম্পর্কে মিঃ গ্রোমিকো কি বলেছেন, আশ্বাসের স্বরে তিনি বললেন, গ্রোমিকো অত্যন্ত জোরালো ভাষায় তাঁর মনোভাব ব্যক্ত করেছেন যে এমনটি হতে পারে না। যদি সত্যি সত্যিই তিনি এরূপ বলে থাকেন তবে আজকে মুক্ত ইশতেহারে তার প্রভাব পড়তো। দুর্ভাগ্য বলতে হবে মিঃ গ্রোমিকো দেশে ফিরে যাবে, তার সরকারের সংগে আলোচনা করনে, তারপর এ ব্যাপারে কি ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন তা জানা যাবে, এত বেশী সময় আমাদের হাতে নেই। মার্শল ল পদ্ধতিটা সিভিল লিটিগেশন বা সিভিল কেস- এর মত নয়। ইয়াহিয়া খাঁ যখন নিজেই বিচারক সেজে বসেছেন, নিজেই সবকিছু করছেন তবে আর কে কার কাছে অভিযোগ করবে। অতএব মহোদয়, আমি প্রশ্ন করতে চাই, সরকার কি যথাযথভাবে বুঝতে পেছেন যে, সোভিয়েত সংঘ এর বেশী কিছু করতে পারবেন যা তার বক্তব্য হতে পরিস্কারভাবে বোঝা যায়। আমি বুঝি মহোদয় আজ, ইয়াহিয়া খাঁ শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রদ্রোহীরূপে শাস্তি দেবার চেষ্টা করছে কিন্তু প্রকৃত অবস্থা হল, মেখ মুজিব একটি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান হয়ে গেছেন তিনি নবগঠিত বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, তাঁকে এভাবে হত্যা করার যে প্রয়াস চলচে সেটি আন্তর্জাতিক বিশ্বের জন্য অতি বড় কলঙ্ক কিন্তু এ ব্যাপারে আমরা আজ কোন কিছু করতে পারছি না কেননা, আমাদের সরকার এখনো মনে করেন না যে, বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দানের সময় হয়েছে। মহোদয়, আমি প্রস্তাব দিতে চাই যে একটি সময়ে জন্য সরকার প্রতীক্ষারত, নূনপক্ষে এই ট্রায়াল এর ফলেই সেটি আজ সমাগত, সরকার এই সময়কে স্বীকৃতির জন্য নির্ধারিত করুন। এর চেয়ে বিলম্ব করার কোন অবকাশ সম্ভবতঃ আর নেই। আমার শেষ কথা যা ভূপেশ মহাশয় বলেছেন, আমার মিত্ররাও বলেছেন, বিশ্বজনমত এ ব্যাপারে চাপ প্রযোগ করুক অবশ্য পাকিস্তানে যে ধরনের জংগীশাহী প্রতিষ্ঠিত তার ওপর বিশ্বজনমত কতখানি কার্যকরী হবে আমি জানি না তবু আমি মনে করি, আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের এ ব্যাপারে সবচেয়ে বেশী দায়িত্ব রয়েছে এবং তারই পাকিস্তানকে বাধ্য করা ও তাকে থামানো উচিত। আমাদের সরকার তাকে পরিস্কারভাবে জানিয়ে দিন যে, যুক্তরাষ্ট্র এ যাবত পাকিস্তানকে ওপরে ওঠানোর জন্য এবং তাকে অস্ত্র দিয়ে যা কিছু করেছে তাতে আমাদের যে ক্ষতি হয়েছে শেখ মুজিবুরের বিচার কার্যকরী করতে দিলে অনুরূপ ক্ষতি আমেরিকা আরো সংযোজন করবে, সুতরাং যুক্তরাষ্ট্রকে কি বলে দেয়া হবে যে তাদের সংগে আমাদের বর্তমান সম্পর্ক যাতে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে না যায় সেজন্য আমেরিকা তার হৃদয়ের বন্ধুকে থামাক। আমেরিকা তাকে থামাতে পারে। তারাই পাকিস্তানকে অস্ত্র দিচ্ছে। তারাই পাকিস্তানের মস্তিষ্ক বিকার ঘটিয়েছে। আমরা যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে এই ভাষায় জানিয়ে দিয়ে তাকে আসন্ন দুর্ঘটনা থামাতে বাধ্য করি।