পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (দ্বাদশ খণ্ড).pdf/৭৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

aSG: বাংরাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ দ্বাদশ খন্ড prevent any saboteurs from coming in, and that effort is continuing, and it is continuing with some success. ডঃ ভাই মহাবীরঃ মহোদয়, মাননীয় মন্ত্রী সরকারের এই প্রত্যয় বারবার পুনরুচ্চার করছেন যে আমরা নিজেদের নিরাপত্তা বিধান করব। এ উক্তির ব্যাখ্যায় আমাদের বন্ধু ভূপেশ গুপ্তও বরাবর বলেছেন, আমরা যুদ্ধ চাই না, আমরা শুধু নিজেদের প্রতিরক্ষা নিশ্চিত করব... শ্ৰী বিদ্যাচরণ শুক্লাঃ আক্রমণ করতে চাই না, লড়াই করতে চাই অবশ্যই। E3 SĒ IEĦĦ: E fISIH ETJ fāī “we do not want a war but we will defend ourselves.” অতঃপর এই বলুন আক্রমণও করতে বাই। মহোদয়, একদিকে যখন একলা বলা হচ্ছে তখন প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর উক্তি যদি যুদ্ধ বাঁধে তবে পাকিস্তানের ভূখন্ডেই হবে এবং যে পর্যন্ত আমরা অগ্রসর হব সেখান থেকে আমরা পশ্চাদাপসরণ করব না, আমি মনে করি সারা দেশের জন্য এর চেয়ে বেশী প্রেরণাদায়ক কথা আর হতে পারে না, এবং এজন্য তিনি প্রশংসিত হয়েছেন। কিন্তু আরেকটি কথা যা বলা হচ্ছে, আমরা শুধু নিজেদের প্রতিরক্ষা বিধান করব এবং এর অর্থ করা হচ্ছে, আমরা আমাদের দেশ অতিক্রম করব না, আমাদের সীমান্ত ছাড়িয়ে যাব না, তারা যখন লড়তে আসবে আমরা সেখানেই লড়ব, যখন তারা পলায়ন করবে তখন আমাদের সীমান্তের ওপর দিয়ে তাদের নিরাপদে চলে যেতে দেব-এই যদি আমাদের নীতি হয় তবে কিসের ভিত্তিতে পাকিস্তানের ভূখন্ডে যুদ্ধ করার কথা আমরা ভাবছি? ...... ১৯৬৫ সালের যুদ্ধও তো অঘোষিত ছিল। তবে কি চিরদিনের জন্য আমাদের হাত বাঁধা, যতক্ষণ ঘোষণা হবে না ততক্ষণ তারা আমাদের ভূখন্ডে নির্বিঘ্নে এসে পড়বে, যখন চাইবে যুদ্ধ করবে, এবং যখন পালিয়ে যাবে স্বীয় ভূখন্ডে তখন আমরা একপাও অগ্রসর হব না, এই যদি পরিস্থিতি হয় তবে এটি সামরিক ষ্ট্রাটেজীর দিক থেকে অত্যন্ত ত্রটিপূর্ণ। সুতরাং আমি চাই, সরকার তাঁর নীতি ব্যাখ্যা করুন, আমারা কি নিজেদের প্রতিরক্ষা বলতে শুধু এই বুঝাই যে, তারা যখন আমাদের ভূখন্ডে এসে পড়বে কেবল তখনই আমরা হাতিয়ার তুলে নেব, তার আগে অস্ত্র ধরতে পারি না?...... জেনারেল হরবিন্স সিংহ-এর সেই প্রবন্ধ মন্ত্রী মহোদয়ের জানা থাকতে পারে যার মধ্যে তিনি লিখেছেন, ইনশিয়েটিভ মিলিটারী ষ্ট্রাটেজীর একটি মহান তত্ত্ব। আমরা এই ইনিশিয়েটিভ তাদের হাতেই তুলে দেই, এতে দেশের কল্যাণ হবে না। শেষ কথা আমি জিজ্ঞেস করব, নিজের দেশে ধ্বংসাত্মক কাজ ও স্যাবোটাজ হচ্ছে, সরকার এ সম্পর্কে অবহিত কিনা, এসবের পেছনে থাকে পাকিস্তান হাইকমিশনের কর্মচারী বি, অধিকারীর চিন্তা ও পরিকল্পনা। পাকিস্তান হাইকমিশনের অভ্যন্তরে যে সব ঘটনা ঘটে তা কয়েকবার এদেশের মানুষকে বিস্মিতও আশ্চর্যান্বিত করেছে। হাইকমিশনের বাংলাদেশী কর্মচারীদেরকে সেখানে পেটানো হয়। এই ধরণের অপকর্ম রোধের জন্য সরকার সেখানে কোন প্রতিবিধান করছেন কিনা? পাকিস্তান হাইকমিশনের লোকদের Diplomatic immunity দেয়া হয় যার ফলে আমরা তাদের অপকর্মসমূহ বন্ধ করতে পারি না। আমি জানতে চাই, ১৯৬৫ সালে পাকিস্তানস্থ আমাদের হাইকমিশনে তল্লাশী চালানো হয়েছিল আজকের সংবাদপত্রে প্রকাশিত এই খবরের সত্যতা আছে কি না। যদি থাকে তবে সরকার সে তথ্য কবে পেয়েছিলেন? এ তথ্য কি তখন পাওয়া গেছে যখন এ সম্পর্কে রহস্যোদঘাটন করা হয়েছে? আমি সরকারের কাছ হতে এসব প্রশ্নের ব্যাখ্যা চাচ্ছি। শ্ৰী বিদ্যাচরণ শুক্লাঃ উপসভাপতি মহাশয়, মাননীয় সদস্যের প্রশ্নসমূহের জবাব সরকার কর্তৃক কয়েকবার সুস্পষ্টভাবে দেয়া হয়েছে, আমি এ পরিষদে সেগুলি আবার পুনরুক্তি করছি। প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রী মহাশয়