পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (দ্বাদশ খণ্ড).pdf/৮৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

br○> বাংরাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ দ্বাদশ খন্ড supply that after this outbreak of trouble or the outbreak of the atrocities and he starting of military action by the military regime against the people of Bangladesh they had stopped supplies of all military equipment to Pakistan, and it is for this reason that we strongly object that this is against the assurances and against what was mentioned to us. As regard the last question, I think it was so ridiculous that I need not reply to it. I think all his criticisms can be described perhaps as mara chuha. SHRI R. V. BADE: Has he received information that One Senator has written to the American Government that there are secret dealings between the US and Pakistan? SHRI SWARAN SINGH: I also had this information. We are grateful to those American Senators and the press people who are trying to elicit all possible information and to expose some of these dealings. শ্ৰী কমল মিশ্র মধুকর (কেসরিয়া): স্পীকার মহোদয়, এই বিবৃতি শুনে মনে হয় যে, এটি কোন আত্মসম্মান সম্পন্ন দেশের বিদেশ মন্ত্রীর বিবৃতি নয়। মনে হয় এটি একটি অধীন সরকারের বিবৃতি যা আমেরিকা মহাপ্রভুর সামনে বলার সাহস রাখে না কিংবা তাঁর এই উপলব্ধি নেই যে, মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ ভিয়েতনাম, ইসরাইল, আরব রাষ্ট্র অথবা দক্ষিণ আমেরিকা বিশ্বের সর্বত্রই গণহত্যা চাপিয়েছে এবং গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। সেই সরকার সম্পর্কে আপনি নিজ বিবৃতিতে বলছেন যে, আমাদের প্রত্যাশা, গণতন্ত্র এবং আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকারে বিশ্বাসী যুক্তরাষ্ট্র সরকার........ আমি মনে করি বিদেশ মন্ত্রীর এই বিবৃতি মার্কিন সরকারের সঠিক চিত্র প্রতিফলিত করে না। আপনি এলেন এবং বিমান বন্দরে বিবৃতি দিলেন, তার পরেও সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয় যে, আমেরিকা হতে পাকিস্তানের জন্য অস্ত্র বোঝাই জাহাজ আসছে। এর অর্থ এই যে যুক্তরাষ্ট্র নেতৃবৃন্দের সম্পর্কে আপনার ধারণা ভুল কিংবা স্পষ্ট ভাষায় বলার সাহস আপনার নেই। এই বিবৃতিতে আপনি কোথাও তাদের নিন্দা করেননি। কোন কঠিন শব্দ প্রয়োগও তাতে করা হয়নি........ এতদিন পরে আপনার বক্তব্যে এসেছে ২৫শে মার্চের পরে সেখানে পাকিস্তানের সংগে তাদের কোন নতুন সমঝোতা হয়নি, পাকিস্তানে অস্ত্র সরবরাহের কোন লাইসেন্স দেয়া হয়নি, কিন্তু তা সত্ত্বেও পাকিস্তানে অস্ত্র সরবরাহ করা হচ্ছে এবং সেখান থেকে জাহাজ রওয়ানা হয়ে গেছে, তাহলে আপনার দূতাবাস কর্মকর্তারা কি কানে তেল দিয়ে ঘুমিয়েছিল কিংবা আমেরিকার নাইট ক্লাবসমূহে ঘুমিয়েছিল? তারা কোথায় ছিল যে আপনাকে এ খবর দিতে পারেনি? যদি না দিতে পারে তবে দূতাবাস রেখে কি লাভ? দ্বিতীয় কথা হচ্ছে এই, এভাবে যে অস্ত্র আসছে তা রুখবার জন্য আপনি কি ব্যবস্থা নিয়েছেন সে কথা পরিস্কারভাবে বলেননি। আপনি প্রতিবাদ নোট পাঠিয়েছেন কিন্তু অস্ত্র সরবরাহ করা না হোক এ ব্যাপারে কি করেছেন। একদিকে আপনার বিরুদ্ধে অস্ত্র দেয়া হচ্ছে, আপনাকে হুমকি দেয়া হচ্ছে, অন্যদিকে আপনাকে আর্থিক সহায়তা দেয়ার প্রলোভন দেয়া হচ্ছে। এই দুমুখো নীতি চলছে আপনার বলা উচিত, এরূপ অপমানজনক সহায়তা আমরা নিতে চাই না, হয় এই দেশের শান্তি এবং বিশ্ব শান্তির জন্য বিপদ ডেকে আনে, আমরা এই প্রকার সাহায্যদানের ঘোর বিরোধী, এ কথা দৃঢ়তার সংগে যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে বলা উচিত। আপনাকে বলতে হবে, যে পত্র আপনি নিজেদের ক্ষোভ প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে দিয়েছেন তার প্রতি ঐ সরকারের আচরণ কি। যুক্তরাষ্ট্র সরকারের বিবৃতিতে সত্যতা থাকে না। ১৯৬৫ সালে যুক্তরাষ্ট্র সরকার বলেছিল যে, পাকিস্তান যে অস্ত্র দেয়া হচ্ছে তা সাম্রাজ্যবাদীদের বিরুদ্ধে নড়বার জন্য দেয়া হচ্ছে কিন্তু তা ভারতের বিরুদ্ধে ব্যবহৃত