পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

249 বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ দ্বিতীয় খন্ড শিরোনাম সূত্র তারিখ ‘রাষ্ট্রপ্রধানের পদে মহিলা নির্বাচন জায়েজ- সংযুক্ত বিরোধী দল ডিসেম্বর, ১৯৬৪ দশজন আলেমের বিবৃতি’ ぐ বর্তমান পরিস্থিতিতে (বিশ্ববিখ্যাত ও দেশবরেণ্যে ওলামায়ে কেরামের ফতোয়া) মরহুম মাওলানা আশরাফ আলী থানভী মরহুম মাওলানা সৈয়দ সোলেমান নদভী মাওলানা মুফতী মোহাম্মদ শফী মাওলানা সাইয়েদ আবুল আলা মওদুদী মাওলানা আতাহার আলী মাওলানা শামছুল হক (ফরিদপুরী) মাওলানা নুর মোহাম্মদ আযমী মাওলানা তাজুল ইসলাম শর্ষিনার পীর শাহ মাওলানা মোহম্মদ ছিদিক মাওলানা মুহাম্মদ আবদুর রহীম হজরত মাওলানা আশরাফ আলী থানভী (রাঃ) বলেনঃ রাষ্ট্র ব্যবস্থা তিন প্রকার,- রাজতন্ত্র, একনায়কত্ব ও গণতন্ত্র। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থায় সদস্যদের সমবায়ে গঠিত পরিষদই রাষ্ট্রের প্রকৃত শাসনকর্তা রাষ্ট্রপ্রধান এ পরিষদের একজন সদস্য মাত্র। তিনি জাতি কর্তৃক মনোনীত বা নির্বাচিত হলেও তাঁর পূর্ণ কর্তৃত্ব এখানে নাই। প্রকৃত প্রস্তাবে তিনিও পরিষদের অন্যান্য সদস্যদের মত একজন পরামর্শদাতা মাত্র যদিও তাঁর মত অন্যান্য একক সদস্যের মতের তুলনায় অগ্রধিকার লাভ করে থাকে তথাপি এতে পূর্ণ কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হয় না। যদি তাই হতো তবে অন্যান্য সদস্যদের সমবেত মতের বিরুদ্ধে তাঁর মতামতই প্রাধান্য লাভ করতো; কিন্তু বাস্তবে তা কখনও হয় না। কোরান মজিদে হজরত বিলকিসের রাজত্ব কাহিনী বর্ণনা প্রসঙ্গে তার কথার উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে ...“মা কুনতু কাতেয়াতান আমরান হাত্তা তাহাদুন” অর্থাৎ বিলকিস তাঁর সভাসদগণকে বলেন, “আপনাদের উপস্থিতি ব্যতীত আমি কোন বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি না”- এ উক্তি থেকে প্রমাণিত হচ্ছে যে সে রাষ্ট্রের রাষ্ট্রীয় পদ্ধতি শাসনতন্ত্র অনুসারেই হোক বা বিলকিসের স্বাভাবিক অনুসৃত রীতি অনুসারেই হউক গণতান্ত্রিক পদ্ধতির অনুরূপই ছিল। হজরত বিলকিসের মুসলমান হবার পর তাঁর রাষ্ট্রাধিকার কেড়ে নেবার কোন প্রমাণ নেই বরং তার রাজ্য যে আগের মতই বহাল ছিল, ইতিহাসে তার যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে। বিলকিসের রাজত্বে ও রাজ্য শাসন পদ্ধতির প্রতি কোরানে কোনরূপ অবজ্ঞা ও অসমর্থন জ্ঞাপন করা হয়নি। উসুলে ফেকাহর সুবিদিত বিধান হচ্ছে, কোরান বা হাদিছে যদি অতীতের কোন ঘটনা বা ব্যবস্থাকে কোনরূপ অবজ্ঞা বা অসমর্থন প্রকাশ না করে