পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ দ্বিতীয় খণ্ড
290
শিরোনাম সূত্র তারিখ
রবীন্দ্র সংগীত বর্জনের সিদ্ধান্তের
প্রতিবাদে মওলানা ভাসানীর বিবৃতি
দৈনিক ‘পাকিস্তান’ ২৮ জুন, ১৯৬৭

রবীন্দ্র সংগীত বর্জনের সিদ্ধান্ত

মওলানা ভাসানীর বিবৃতি

 রেডিও পাকিস্তান হতে রবীন্দ্র সঙ্গীত পরিবেশন সম্পর্কে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির সভাপতি মওলানা ভাসানী গতকাল মঙ্গলবার নিম্নলিখিত বিবৃতি দিয়েছেন।

 “তথ্যমন্ত্রী জনাব সাহাবুদ্দিন ঘোষনা করেছেন যে, রবীন্দ্র সংগীত ইসলাম ও পাকিস্তানের ঐতিহ্য পরিপন্থী বিধায় আর বেতার ও টেলিভিশন মারফত পরিবেশিত হইবে না।”

 “কিছুদিন পূর্বে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জনাব সবুর খানও রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কে অনুরূপ বক্তব্য পেশ করেছিলেন। তাঁদের এই বক্তব্য পাকিস্তান সরকারের মনোভাবেরই প্রকাশ কিনা, ইহাই সরকারের নিকট আমার জিজ্ঞাস্য।”

 রবীন্দ্রনাথ তাহার কাব্য, সাহিত্য, ছোটগল্প, প্রবন্ধ, নাটক ও উপন্যাস ও সংগীতের মাধ্যমে বাংলা ভাষাকে নতুন গৌরবে অভিষিক্ত করেছেন।

 রবীন্দ্রনাথের অবদান সার্বজনীন।

 ইসলাম সত্য ও সুন্দরের জন্ম ঘোষনা করেছেন। এই সত্য ও সুন্দরের পতাকাকে তুলে ধরেছেন রবীন্দ্রনাথ।

 তাই, যারা ইসলামের নামে রবীন্দ্রনাথের উপর আক্রমন চালাচ্ছেন তাঁরা আসলে ইসলামের সত্য ও সুন্দরের নীতিতে বিশ্বাসী নন।

 তাই আমি এই দেশের সাধারণ মানুষের প্রতি সরকারের এই প্রচেষ্টাকে প্রতিহত করার জন্য আহবান জানাচ্ছি।