পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

296 বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ দ্বিতীয় খন্ড ৫। জাতীয় কর্মপরিষদ সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিবে। অবশ্য সর্বসম্মত কর্মসূচী পরিবর্তন করিতে হইলে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত প্রয়োজন হইবে। আজ ১৯৬৭ সালের ৩০ শে এপ্রিল ঢাকায় ৫টি দলের পক্ষ হইতে নিম্ন স্বাক্ষরকারী দস্তখত করিলেনঃ ১জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টঃ নুরুল আমীন, হামিদুল হক চৌধুরী ও আতাউর রহমান খান। ২।পাকিস্তান মুসলিম লীগ (কাউন্সিল); মোমতাজ দৌলতানা, সাইয়েদ খাজা খায়রুদ্দীন ও তাফাজ্জল আলী। ৩। জামাতে ইসলামী পাকিস্তানঃ তোফায়েল মুহম্মদ, মুহম্মদ আব্দুর রহীম ও গোলাম আযম ৪।পাকিস্তান আওয়ামী লীগঃ নাছরুল্লাহ খান, আবদুস ছালাম খান ও গোলাম মুহম্মদ খান লুন্দখোর। ৫।পাকিস্তান নেযামে ইসলাম পার্টিঃ মুহাম্মদ আলী, ফরদ আহমদ ও এম.এর খান । ১৯৬৭ সালের মে মাসে নির্বাচিত জাতীয় পরিষদের কর্মকর্তাগণ সভাপতি- নওয়াব জাদা নাছরুল্লাহ খান (আঃ লীগ) সহসভাপতিদ্বয়- (১) এডভোকেট নাসীম হাসান (নেঃ ইস) (২) সাইয়েদ খাজা খায়রুদ্দীন (মুঃ লীগ) সাধারণ সম্পাদক- জনাব মাহমুদ আলী এম,এন,এ (এন.ডি.এফ) যুগ সম্পাদক- সাইয়েদ ছিদীকুল হাসান জিলানী (জাঃ ইস) কোষাধ্যক্ষ-ব্যারিস্টার এম, আনোয়ার (স্বতন্ত্র) ১৯৬৭ সালের আগষ্ঠে নির্বাচিত পূর্ব পাক আঞ্চলিক কর্মপরিষদের কর্মকর্তাগণ সভাপতি- এডভোকেট আবদুস ছালাম খান (আঃ লীগ) সহসভাপতিদ্বয়- (১) মাওলানা সাইয়েদ মুছলেহুদীন (নেঃ ইস) (২) এডভোকেট নওয়াজেশ আহমদ (মুঃ লীগ) সাধারণ সম্পাদক- অধ্যাপক গোলাম আযম (জাঃ ইস) যুগা সম্পাদক- মাওলানা নুরুজ্জামান (আঃ লীগ) কোষাধ্যক্ষ- জনাব এম, আর, খান (নেঃ ইস) গণতান্ত্রিক শিবিরে ঐক্যের গুরুত্ব গণতন্ত্রে বিশ্বাসী প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলই গণতন্ত্র, আঞ্চলিক স্বায়ত্তশাসন, উভয় প্রদেশের মধ্যে বিরাজমান বৈষম্যের প্রতিকার এবং পূর্ব পাকিস্তানের অর্থনৈতিক স্বয়ংসম্পূর্ণতা দাবী করিয়া বিভিন্ন দফা সম্বলিত কর্মসূচী পেশ করিয়াছেন। তন্মধ্যে জামায়াতে ইসলামীর ৫-দফা, আওয়ামী লীগের ৬-দফা ও মুসলিম লীগের (কাউন্সিল) ৭-দফা উল্লেখযোগ্য। এন-ডি-এফ এবং নেজামে ইসলাম পার্টিও ঐ সব বিষয়ে বলিষ্ঠ দাবী জানাইয়া আসিতেছে।