পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ দ্বিতীয় খণ্ড
372

 গতকালের অনুষ্ঠানের প্রথম পর্যায়ে আলোচনা সভায় আবদুল কাদির বলেন যে, নজরুল ছিলেন নিপীড়িত জনগণের স্বাধিকার আদায়ের সংগ্রামী কবি। বাংলা সাহিত্যে তিনি গণতন্ত্র সমাজতন্ত্রের প্রথম প্রবক্তা। তিনি নজরুলের কাব্য সাধনাকে ৪ ভাগে ভাগ করেন।....... তিনি বলেন, নজরুলের আগেও অনেক কবি হয়েছেন, যেমন রবীন্দ্রনাথ, নবীন চন্দ্র, কিন্তু নজরুলের মত তাদের সাহিত্যে এত মানবিক আবেদন নেই।..........

তৃতীয় পর্যায়ে সঙ্গীতকার নজরুল রবীন্দ্রনাথের চেয়েও বড়।


 সাহিত্য নজরুলের আবির্ভাব সম্পর্কে তিনি (জনাব কাদির) বলেন, নজরুল যখন সাহিত্যে নেমে এলেন তখন রবীন্দ্রনাথ ভাস্বর-তাঁর তখন পূর্ণ দীপ্তি। কিন্তু তাঁর যখন আবির্ভাব হলো- দেখা গেলো যুগের যৌবনের সব ধর্ম তার কাব্যে উদ্বেল হয়ে উঠেছে। তখন রবীন্দ্রনাথের কথা অনেকেই ভুলে গেলেন। নজরুল সাহিত্যে স্ববিরোধিতা করেছেন বলে কেউ কেউ যে অভিযোগ করেন তার বিরোধিতা করে জনাব কাদির বলেন, তার সাহিত্যের সুরটি হলো ‘জনগণের স্বাধিকার’— গণতান্ত্রিক সমাজতন্ত্র। এ সুরটি যারা বুঝতে পারেন না, তাদের নজরুল সাহিত্য পাঠ পণ্ডশ্রম মাত্র।