পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৪১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

383 বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ দ্বিতীয় খন্ড শিরোনাম সূত্র তারিখ স্বাধীনতার আহবান সম্বলিত শ্রমিক আন্দোলনের পূর্ব পাকিস্তান শ্রমিক ১০ডিসেম্বর, ১৯৬৮ থিসিস আন্দোলনের পুস্তিকা পূর্ব বাংলা শ্রমিক আন্দোলনের থিসিস পূর্ব বাংলা শ্রমিক আন্দোলনের বিপ্লবী পরিষদ কর্তৃক ১৯৬৮ সালের ৮ই জানুয়ারীতে গৃহীত এবং ১৯৬৮ সালের ১লা ডিসেম্বরে পরিবর্ধিত ও পুনঃলিখিত এ দলিলটি সভাপতি সিরাজ সিকদারের নেতৃত্বে পূর্ব ংলা শ্রমিক আন্দোলন ও পরবর্তীতে পূর্ব বাংলার সর্বহারা পার্টি গড়ে ওঠার তাত্ত্বিক ভিত্তিপ্রস্তর। এ ঐতিহাসিক প্রতিভাদীপ্ত দলিল এমন এক সময় অপরিহার্য হয়ে পড়েছিল যখন পূর্ব বাংলার কমিউনিষ্ট আন্দোলন সংশোধনবাদ বা নয়া সংশোধনবাদের কানা গলিপথে পথ হাতড়াচ্ছে, আন্তরিকভাবে সর্বহারা বিপ্লবীরা প্রতিক্রিয়াশীল নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছেন। এ সময় আন্তরিক সর্বহারা বিপ্লবীদের জন্য অত্যন্ত জরুরী কর্তব্য হয়ে পড়েছিল পূর্ব বাংলার সমাজ ও কমিউনিষ্ট আন্দোলনের অভিজ্ঞতার একটি ঐতিহাসিকভাবে আনা সঠিক বিশ্লেষণ ও সারসংকলন, একটি সঠিক কর্মনীতি এবং এগুলোর ভিত্তিতে একটি সঠিক পার্টি গড়ে তোলার প্রক্রিয়া শুরু করা। এ ঐতিহাসিক কৰ্তব্য সম্পাদনে তাত্ত্বিক প্রয়োজন মেটায় পূর্ব ংলা শ্রমিক আন্দোলনের থিসিস র্যা পূর্ব বাংলার সর্বহারা পার্টির প্রতিটি সচেতন কর্মী, সহানুভুতিশীল ও সমর্থকের অবশ্য পাঠ্য। - স, বি, প) ভূমিকা মার্কসবাদ-লেনিনবাদ-মাওসেতুঙ চিন্তাধারা আমরা কিভাবে প্রয়োগ করবো, আমাদের দেশের বিপ্লবের পরিপ্রেক্ষিতে। মার্কসবাদ-লেনিনবাদ-মাওসেতুঙ চিন্তাধারা হবে তীর যা আমাদের নিক্ষেপ করতে হবে পূর্ব ংলার বিপ্লবকে লক্ষ্য করে। যারা আজ লক্ষ্যহীনভাবে তীর ছেড়েন, এলোপাতাড়ি তীর ছেড়েন, তারা সহজেই বিপ্লবের ক্ষতি করতে পারেন। মার্কসবাদী নামধারী বহু ব্যক্তিই এলোপাতারি তীর ছুড়ে সুবিধাবাদীবববববকিকিকিগ্রেযা ও প্রতিবিপ্লবী ভুমিকা পালন করছেন। সভাপতি মাওসেতুঙ বলেছেন, “অতীতের ভুলগুলো অবশ্যই প্রকাশ করে দিতে হবে। অতীতের খারপ বস্ত্তকে বৈজ্ঞানিক মনোভাব দিয়ে বিশ্লেষণ করা ও সমালোচনা করা প্রয়োজন যাতে ভবিষ্যতের কাজ আরো সতর্কভাবে সম্পন্ন করা যায়। এটাই হচ্ছে অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে ভবিষ্যতের ভুল এড়ানোর অর্থ।” পাক স্বাধীনতা’কালে ভারতীয় কমিউনিষ্ট পার্টি কেন ব্যর্থ হলো উপনিবেশবাদ ও সামন্তবাদ বিরোধী সংগ্রামে নেতৃত্বে গ্রহণ করতে এবং ঔপনিবেশিক ও সামন্ততান্ত্রিক শোষণের অবসান ঘটিয়ে সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে? ‘স্বাধীনতা’ উত্তরকালে ভারতীয় কমিউনিষ্ট পার্টি কেন ব্যর্থ হলো উপনিবেশবাদ ও সামন্তবাদ বিরোধী সংগ্রাম পরিচালনা করে সমাজতন্ত্রের পথ তৈরী করতে? এ ব্যর্থতার কারণগুলো ক্ষমাহীনভাবে বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে উদঘাটন করতে হবে, যাতে একই ভুল ভবিষ্যতে না হয় এবং মার্কসবাদ-লেনিনবাদমাওসেতুঙ চিন্তানুসারীরা সক্ষম হন তাদের ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালনে!

সারা দুনিয়ার সর্বহারা - এক হও!