শিরোনাম | সূত্র | তারিখ |
জনগণের দাবীতে ২১শে ফেব্রুয়ারী শহীদ দিবসকে সরকারী ছুটি হিসেবে ঘোষণা |
দৈনিক ইত্তেফাক | ১৭ ফেব্রুয়ারী, ১৯৬৯ |
২১শে ফেব্রুয়ারী সরকারী ছুটি
পূর্ব পাকিস্তান সরকার আগামী ২১শে ফেব্রুয়ারী প্রদেশব্যাপী সরকারী ছুটি দিবসরূপে ঘোষণা করেছেন।
৫২ সনের অমর বাংলা ভাষা আন্দোলনের বীর শহীদদের স্মরণে একুশে ফেব্রুয়ারীকে সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ অবিলম্বে শহীদ দিবসরূপে ঘোষণার দাবী জানিয়েছিলেন। ৫৪ সালের যুক্তফ্রণ্ট মন্ত্রীসভা একুশে ফেব্রুয়ারীকে ছুটি দিবস ঘোষণা করেছিলেন এবং সামরিক আইন জারীর পরের দিন এই ছুটি বাতিল হয়ে যায়।
শিক্ষাবিদের অভিমত
মাতৃভাষার মাধ্যম ছাড়া জাতীয় চেতনার বিকাশ সম্ভব নয়। জাতীয় জীবনের সর্বস্তরে মাতৃভাষার মর্যাদা সম্পর্কে যে অভুতপূর্ব সচেনতা দেখা দিয়েছে তা ভাষা আন্দোলনের অন্যতম অবদান। ২১শে ফেব্রুয়ারীর তাৎপর্য সম্পর্কে উক্ত মন্তব্য করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যক্ষ মোঃ আবদুল হাই। গত বৃহস্পতিবার এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে জনাব আবদুল হাই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের রীডার ১৯৫২ এর ভাষা আন্দোলনে কারাভোগী বিশিষ্ট সাহিত্যিক অধ্যাপক মুনীর চৌধুরী বলেন, ১৯৬৯ সালে ২১শে ফেব্রুয়ারীর সরকারীভাবে শহীদ দিবসের মর্যাদা লাভের মধ্যে সাম্প্রতিকতম তাৎপর্য নিহিত। ....... ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ও বিশিষ্ট চিন্তাবিদ ডঃ আহমদ শরীফ বলেন, ঐতিহ্য যে প্রেরণার উৎস, একুশে ফেব্রুয়ারীর পালনের এ বছরের তোড়জোড়-এর প্রকাশ্য প্রমাণ।