পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৪৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

450 বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ দ্বিতীয় খন্ড প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খান কর্তৃক জনগণের সার্বভৌমত্ব নির্বাচন দৈনিক ইত্তেফাক ১৪ মার্চ, ১৯৬৯ ও পার্লামেন্টার শাসন পুনঃপ্রবর্তনের সিদ্ধান্ত মৌলিক গণতন্ত্র ভিত্তিক স্বৈরাতন্ত্রী ব্যবস্থার প্রবর্তক প্রেসিডেন্ট আইয়ুব কর্তৃক জনগণের সার্বভৌমত্ব স্বীকার রাওয়ালপিন্ডি, ১৩ মার্চ-চারদিন একটানাভাবে আলোচনার পর প্রেসিডেন্ট আইয়ুব কর্তৃক বয়স্ক ভোটাধিকার ও পার্লামেন্টারী সরকার প্রতিষ্ঠার দাবী মানিয়া নেওয়ার মধ্য অদ্য সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যকার গোল টেবিল বৈঠক সমাপ্ত হয়। কিন্তু প্রাদেশিক স্বায়ত্তশাসন ও এক ইউনিট বিলোপের মত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নে গোল টেবিল বৈঠকে কোন সিদ্ধান্তে পৌছুতে সক্ষম হয় নাই। এদিকে আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ মুজিবুর রহমান দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে ঘোষণা করিয়াছেন যে, জনগণের অবশিষ্ঠ দাবী প্রতিষ্ঠার জন্যই আওয়ামী লীগ শান্তিপূর্ণ ও নিয়মতান্ত্রিক পন্থায় নিরবিচ্ছিন্ন সংগ্রাম চালাইয়া যাইবে। স্বভাবতই প্রেসিডেন্ট এখন বয়স্ক নির্বাচন ও পার্লামেন্টারী সরকার বিধান শাসনতন্ত্রে সংযোজনের উদ্দেশ্যে জাতীয় পরিষদের অধিবেশন আহবান করবেন। প্রেসিডেন্ট তাঁহার বক্তৃতায় শান্তিপূর্ণ ও শাসনতান্ত্রিক পন্থায় ক্ষমতা হস্তান্তরের ঐতিহ্য সৃষ্টির প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন। গোলটেবিল বৈঠক আলোচনার সমাপ্ত টানিয়া প্রেসিডেন্ট আইয়ুব বলেন, তিনি এই সিদ্ধান্তে উপনীত হইয়াছেন যে, সকল নেতাই দেশেই পার্লামেন্টারী পদ্ধতির সরকার প্রতিষ্ঠা এবং বয়স্কদের সরাসরি ভোটে প্রতিনিধি নির্বাচন এই দুইটি প্রশ্নে একমত হইয়াছে। প্রেসিডেন্ট বলেন, বয়স্কদের প্রত্যক্ষ ভোটে প্রতিনিধি নির্বাচনের প্রশ্নটি বিলের আকারে পেশের পূর্বে বিচার বিশ্লেষণ প্রয়োজন। বিষয় ভিত্তিতে অক্ষুন্ন রাখিয়া ফেডারেল পার্লামেন্টারী পদ্ধতি প্রবর্তনের জন্য জাতীয় পরিষদের প্রতি আহবান জানাইতে পারেন। প্রেসিডেন্ট বলেন যে, অমীমাংসিত প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা সমাধান করিলেই সব চাইতে ভাল হইবে।