পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৪৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

465 বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ দ্বিতীয় খন্ড (২) ভিক্ষাবৃত্তি চিরতরে বিলুপ্ত করা হইবে এবং ভিক্ষুকদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করিয়া সমাজে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হইবে। (৩) বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান অথবা তাহদের বেকারভাতার ব্যবস্থা করা হইবে। (৪) ঘুষ, দুনীতি, চুরি, ডাকাতি, জুয়া খেলা, মাতলামি, রাহাজানি, গুন্ডামি চিরতরে সমাজদেহ হইতে উৎপাটিত করা হইবে। (৫) বেশ্যাবৃত্তিকে সমূলে উচ্ছেদ করা হইবে এবং বেশ্যাদের সুচিকিৎসা ও শিক্ষার মাধ্যমে সমাজে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হইবে। তাহাদেরকে সম্মানজনক জীবিকা নির্বাহের ব্যবস্থা করা হইবে। (৬) প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থদের রিলিফ প্রদানের ব্যবস্থা করা হইবে। যাহাঁদের জমিজমা, বাড়ী-ঘর নদী ভাঙ্গনের ফলে ভাসাইয়া লইয়া যাইবে, রাষ্ট্র তাহদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করিবে। নারীর অধিকারঃ (১) রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজ ও সংস্কৃতি সর্বক্ষেত্রে নারী ও পুরুষের সমানাধিকার প্রতিষ্ঠা করা হইবে। নারীসমাজের রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও বৃত্তিগত মানোন্নয়নের জন্য রাষ্ট্র বিশেষ প্রচেষ্টা গ্রহণ করিবে। (২) যে সকল মহিলা পুরুষের অনুরুপ কার্যে নিযুক্ত তাঁহারা সমবেতন, সমমর্যাদা ও অধিকার ভোগ করিবেন। (৩) মহিলা কর্মীদের উৎকর্ষ বিধান, উপযুক্ত ট্রেনিং ও সক্রিয় সাহায্যদানের নীতি গ্রহণ করা হইবে। (৪) বিবাহ ও পরিবার সম্পর্কে প্রগতিশীল আইন প্রণয়ন করা হইবে। (৫) মহিলা শ্রমিক ও কর্মচারীদের দুই মাসের সমবেতন মাতৃত্ব ছুটি প্রদান করা হইবে। প্রসূতিদের বিশেষ ভাতা প্রদান করা হইবে। (৬) মাতা ও শিশুদের প্রতি রাষ্ট্র বিশেষ যত্ন গ্রহণ করিবে। রাষ্ট্রীয় খরচে মাতৃসদন, শিশুমঙ্গল প্রতিষ্ঠান ও নার্সারী স্কুল পর্যাপ্ত সংখ্যায় প্রতিষ্ঠা করা হইবে।