পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৫৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

525 বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ দ্বিতীয় খন্ড শিরোনাম সূত্র তারিখ আইনগত কাঠামো সংশোধনের আহবানঃ দৈনিক পাকিস্তান ও ১,২,৩,এপ্রিল, ১৯৭০ প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া কর্তৃক ঘোষিত আইনগত কাঠামো গণতান্ত্রিক মূলনীতির পরিপন্থী। দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল আইনগত কাঠামো আদেশ সংশোধনের জন্য প্রেসিডেন্টের প্রতি আবেদন জানান। “১লা এপ্রিল ১৯৭০ ঢাকায়” পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগের ওয়ার্কিং কমিটির দুদিনব্যাপী জরুরী বৈঠক শেষে গৃহীত এক প্রস্তাবে জনগণের গণতান্ত্রিক আশা-আকাঙ্খা বানচালের দরুন যে গুরুতর পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে তা এড়াবার জন্য প্রেসিডেন্টকে গণতন্ত্রের মূলনীতির সাথে সামঞ্জস্য আনয়নের জন্য আইনগত কাঠামো নির্দেশ যথাযথভাবে সংশোধনের আহবান জানানো হয়। আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ মুজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে তার বাসভবনে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। (দৈনিক পাকিস্তান, ২রা এপ্রিল)। ১লা এপ্রিল সংবাদপত্রের প্রকাশিত এক বিবৃতিতে মওলানা ভাসানী প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়ার ভাষণের উপর বক্তব্য রাখতে গিয়ে তার সমালোচনা করে বলেন, প্রেসিডেন্টের ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে প্রত্যেক পাকিস্তানীরই এই ধারণা হবে যে, শাসনতন্ত্রের চূড়ান্ত কাঠামোর ব্যাপারে নির্বাচিত সদস্যদের কোন কথা বলারই অধিকার থাকবে না। (দৈনিক পাকিস্তান, ১লা এপ্রিল)। প্রেসিডেন্টের আইনগত কাঠামোর বিরোধিতা করে দেশের প্রায় সব ক’টি রাজনৈতিক দলই তাদের স্ব স্ব বক্তব্য পেশ করে। লাহোর প্রস্তাব বাস্তবায়ন কমিটি প্রেসিডেন্টের আইনগত কাঠামো সম্পর্কে বলতে গিয়ে এই বিধানকে গণতন্ত্র অর্থ ও রেওয়াজের পরিপন্থী বলিয়া অভিহিত করেন। (দৈনিক ইত্তেফাক, ৩রা এপ্রিল)। প্রাদেশিক ন্যাপ প্রধান (রিকুইজেশন) অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ ২রা এপ্রিল চট্টগ্রামের এক জনসভায় নির্বাচনের আইনগত কাঠামোর ২৫ এবং ২৭ ধারার তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, তাদের দল এ দু’টি ধারার বিরোধী। (দৈনিক পাকিস্তান, ৩রা এপ্রিল)।