পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ দ্বিতীয় খন্ড পূর্ব বাংলা লিবারেশন ফ্রন্ট সংক্রান্ত তথ্য এবং প্রদেশের সরকারী ఫి(ఫి তৎকালীন রাজনৈতিক তৎপরতার ওপর সরকারী গোপন প্রতিবেদন S [একটি নাম আলী আছাদ। সে আজ আমাদের ধ্রুবতারা। তার দিকে চেয়ে আমাদের পথ চলতে হবে। চলবো আমরা কাফেলাকে পথ দেখিয়ে গন্তব্যস্থলে পৌছাতে হবে যেকোন মূল্যে। আলী আছাদ (ওরফে কালো খোকা) ছিল সংগ্রামের মূর্ত প্রতীক। ১৯৪৮ সন থেকে সে ছাত্রলীগে যোগদান করে এবং বাংলাভাষা আন্দোলনে সক্রিয় অংশ গ্রহণ করে জামালপুর মহকুমায় ঘুরে ঘুরে বিরাট আন্দোলন গড়ে তোলে। আন্দোলন ব্যাপক আকার ধারণ করায় প্রতিক্রিয়াশীল মুসলিম লীগ সরকার তাকে ১৯৫২ সনে গ্রেফতার করে এবং বিনা বিচারে ময়মনসিংহ কারাগারে আটকে রাখে। এর পর যতগুলি আন্দোলন হয় প্রত্যেকটিতে সে পুরোধারে ছিল। জামালপুর প্রতিনিধিদের পক্ষ থেকে সেই ১৯৫৬ সনে কাগমারী সম্মেলনে মরহুম প্রধানমন্ত্রী শহীদ সোহরাওয়াদী বাংলাদেশ প্যারিটি মানার কথা বললে প্রথম সোচ্চার কষ্ঠে প্রতিবাদ করে সে। আলী আছাদ জামালুপর আওয়ামী লীগের সাংগাঠনিক সম্পাদক ছিল। যখন আওয়ামী লীগ করতে সবাই ভয় পেতো তখন সে বলিষ্ঠ কষ্ঠে সারা মহকুমা তথা দেশময় আওয়ামী লীগের বাণী ছড়িয়েছে। পূর্ব বাংলা লিবারেশন ফ্রন্ট, ১৯৫৮* আঃ জামান ১৯৫৮ সনে জেনারেল আইয়ুব খান গণতন্ত্রকে হত্যা করে বন্দুকের ভয় দেখিয়ে পাকিস্তানের শাসনতন্ত্র ভেঙ্গে ডিক্টেটর হন। ডিক্টেটর হয়েই উনি সারাদেশে সামরিক আইন জারি করেন এবং দেশপ্রেমিকদের কারাগারে নিক্ষেপ করেন। তন্মধ্যে মওলানা ভাসানী ও শেখ মুজিবুর রহমানের নাম উল্লেখযোগ্য। দেশে তখন নীরব নিশ্চপ অবস্থা। কারো টু শব্দ করার উপায় নেই। এই সময়ে বিপ্লবী বীর আলী আছাদ ঢাকা গিয়ে তরুণদের সঙ্গে পরামর্শ করে চলে এলো জামালপুরে। এই অসীম সাহসী তরুণের দল একটি বিপ্লবী দল গঠন করেন, তার নামই হলো ‘পূর্ব বাংলা লিবারেশন ফ্রন্ট’। আলী আছাদ তার প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। ঐতিহাসিক জামালপুরেই দলের গোপন সেল স্থাপন করা হয়। ধীরে ধীরে দলের সদস্য সংখ্যা বাড়তে লাগলো। তখন আলী আছাদ একদল তরুণকে সঙ্গে নিয়ে চলে যান প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতে উচ্চতর ট্রেনিং নিতে। প্রথমে পশ্চিম বাংলা সরকার তাদেরকে প্রবেশ করতে দিয়েছিল। পরে যখন তারা কাজ শুরু করে তখন হঠাৎ করে সরকার গুপ্তচর আখ্যা দিয়ে কারাগার আবদ্ধ করে। পরে এখান হতে আইয়ুব সরকার যে তাদের উপরে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা ও হুলিয়া জারি করেছিল তা পাঠান হয়। এই সকল কাগজপত্র দেখে পশ্চিম বাংলা সরকার তাদের জেল হতে ছেড়ে দেয়। সেখানে বসে তরুণ বিপ্লবীরা অন্যান্য দশের কূটনৈতিক মিশনগুলোকে পূর্ব বাংলায় যে কি উৎপীড়ন শুরু হয়েছে তা জানায় এবং তাদের সপক্ষে সহানুভূতি কামনা করে। অতঃপর তারা গারো পাহাড়ের সীমান্ত দিয়ে প্রথমে শ্রীবর্দী থানার পাখীমারা গ্রামে এসে পৌছায়। সেখানে এক সদস্যের বাড়ীতে তারা আস্তানা গাড়ে। হঠাৎ করে সামরিক জান্তার গুপ্তচর বাহিনী তাদেরকে অবরোধ DDDDDDuDDD DDDDDDD DDDD DDDDDuDDDDDD আর কোন সংখ্যা বের হয়নি।