পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৭৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

741 বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ দ্বিতীয় খন্ড আগামী কর্মসূচী ঘোষণা ১নং নির্দেশ সরকরী সংস্থাসমূহ কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক সেক্রেটারিয়েটরসমূহ, সরকারী ও বেসরকারী অফিসসমূহ, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানসমূহ, হাইকোর্ট এবং বাংলাদেশস্থ সকল কোর্টে হরতাল পালন করবেন এবং নিম্নে বর্ণিত বিশেষ নির্দেশাবলী এবং বিভিন্ন সময়ে যেসব ছাড় ব্যাখ্যা দেয়া হবে তা মেনে চলবেন। ২নং নির্দেশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহঃ সমগ্র বাংলদেশে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। ৩নং নির্দেশ আইন ও শৃংখলা রক্ষা (ক) ডেপুটি কমিশনার ও মহকুমা অফিসারগণ তাঁদের কোন দফতর না খুলে সংশ্লিষ্ট এলাকার আইন ও শৃংখলা রক্ষার দায়িত্ব পালন করবেন এবং উন্নয়ন কাজ ও প্রয়োজন হলে এই সকল নির্দেশ কার্যকরী বা প্রয়োগ করার দায়িত্ব পালন করবেন। ডেপুটি কমিশনারগণ ও মহকুমা অফিসারগণ তাঁদের এই সব দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে আওয়ামী লীগ সংগ্রাম পরিষদের সংগে ঘণিষ্ঠ যোগাযোগ ও নিবিড় সহযোগিতা বজায় রাখবেন। (খ) পুলিশ আইন ও শৃংখলার রক্ষার দায়িত্ব পালন করবেন এবং প্রয়োজন বোধে আওয়ামী লীগ স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীর সাথে যোগ দেবেন। (গ) জেলের দফতরে কাজ চলবে এবং ওয়ার্ডারগণ তাদের দায়িত্ব যথাযথ পালন করে যাবেন। (ঘ) আনসার বাহিনী তাদের দায়িত্ব পালন করবেন। ৪নং নির্দেশ বন্দর (আভ্যন্তরীণ বন্দরসহ) বন্দর কর্তৃপক্ষ পাইলটেজসহ সকল কাজ করে যাবেন। বন্দর কর্তৃপক্ষ কেবলমাত্র সেই সব অফিস খোলা থাকবে যেগুলি বন্দরে জাহাজসমূহের সহজ ও সুষ্ঠ আসা-যাওয়ার জন্য বিশেষভাবে প্রয়োজনীয়। কিন্তু সৈন্য চলাচলে কিংবা সমরাস্ত্র আনানোর ও বাংলাদেশের মানুষকে নির্যাতনের জন্যে সৈন্য ও সমরাস্ত্র আনানেয়ার কাজে কোনভাবেই সহযোগিতা বা সাহায্য করা যাবে না। জাহাজসমূহের বিশেষ করে বাংলাদেশের মানুষের জন্যে খাদ্যবাহী জাহাজসমূহের মাল তুরাম্বিত করার সম্ভাব্য সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। বন্দর কর্তৃপক্ষ বন্দর শুল্ক (পোর্ট ডিউজ) ও মাল খালাসের কর বা শুল্ক আদায় করবেন। আভ্যান্তরীণ বন্দর কর্তৃপক্ষ বন্দর শুল্ক ও অন্যান্য শুল্ক আদায় করবেন। ৫নং নির্দেশ আমদানি আমদানিকৃত মাল দ্রুত খালাস করতে হবে। শুল্ক বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখাসমূহ কাজ করে যাবেন এবং ধার্যক্ত শুল্ক সম্পূর্ণরূপে পরিশোধের পর মাল খালাসের অনুমতি দেবেন। এই কাজ সমাধানের জন্যে ইষ্টাৰ্ণ