পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (নবম খণ্ড).pdf/৪৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র : নবম খণ্ড
৪১৮

 পাকসৈন্যরা কামারখালীতে নদী পার হবার চেষ্টা করলে মুক্তিযোদ্ধারা তাদের সেই চেষ্টাও ব্যর্থ করে দেন।

 ময়মনসিংহ শহরে পাক সৈন্যদল ও মুক্তিবাহিনীর মধ্যে এখন প্রচণ্ড লড়াই চলছে। কুষ্টিয়ায় পাকসৈন্য ও মুক্তিফৌজের মধ্যে যুদ্ধ চলছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।

 ময়মনসিংহে প্রচণ্ড যুদ্ধঃ সীমান্তের ওপার থেকে খবর এসেছে যে, বাংলাদেশের উত্তর খণ্ডে ময়মনসিংহে পশ্চিম পাকিস্তানী সৈন্য ও মুক্তিবাহিনীর মধ্যে প্রচণ্ড লড়াই হচ্ছে। পাকসৈন্যদের একটি অগ্রবর্তী দল গতকাল ময়মনসিংহ শহরে প্রবেশ করে এবং ডেপুটি কমিশনারের বাংলা ও বিশ্ববিদ্যালয় অঞ্চলে তুমুল লড়াই হয়।

 মুক্তিযোদ্ধারা ময়মনসিংহ থেকে ৬ মাইল দূরে মধুপুর থেকে আগত আর একটি পাকসৈন্যদলের সঙ্গে এখন ও লড়াই করেছেন।

-যুগান্তর, ২৫ এপ্রিল, ১৯৭১

বেনাপোলে মুক্তিফৌজের হাতে পাকিস্তানী গোলন্দাজ বাহিনী ঘায়েল

 বেনাপোলে, ২৫ এপ্রিল আজ যশোর রণাঙ্গনে মুক্তিফৌজের মূল ঘাঁটি দখল করতে এসে হানাদার দলের গোলন্দাজ বাহিনী ঘায়েল হয়। মুক্তিসেনাদের প্রচণ্ড পাল্টা আঘাতে তারা আধুনিক সমর সরঞ্জাম ফেলে পালায়। কিছু চীনা অফিসার পাকবাহিনীকে নির্দেশ দিচ্ছিল, তারাও যুদ্ধক্ষেত্র থেকে নিরুদ্দেশ হয়ে যায়। বাংলা বাহিনী দখলদারদের ঘাঁটিতে গিয়ে চীনের প্রচুর উন্নত অস্ত্রশস্ত্র পায়।

 বনগাঁ থেকে আমাদের নিজস্ব সংবাদদাতা জানান, বেনাপোলে মুক্তিফৌজ ও পাক সৈন্যের মধ্যে প্রচণ্ড যুদ্ধের পর মুক্তিফৌজ পাকিস্তানী বাহিনীর অগ্রগতি সাফল্যের সঙ্গে প্রতিরোধ করেছে। ২৫ জনের বেশী মুক্তিসেনাকে বেনাপোল থেকে এনে বনগাঁ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আরও আহত সৈনিককে নিয়ে আসা হচ্ছে।

 ময়মনসিংহে বোমাবর্ষণঃ দলু (বারেঙ্গাপাড়া) ২৫এপ্রিল পাকিস্তান বিমান বহরের বিমানগুলি গতকাল সকালে ময়মনসিংহ শহরে বোমাবর্ষণ করে। এই নিয়ে পরপর তিনদিন ময়মনসিংহ শহরে হাওয়াই হামলা হল। গারুয়াপাড়া সীমান্ত থেকে বোমাবর্ষণের শব্দ পাওয়া যায়। ময়মনসিংহ থেকে সদ্য আগত শরণার্থীরা জানান বৃহস্পতিবার থেকে পাক সৈন্যদল শহরটি প্রায় অবরুদ্ধ করে ফেলেছে। এইসব শরণার্থীরা শুক্রবার সন্ধ্যায় শহর থেকে পালিয়ে এসেছেন।

 পাকসৈন্যদের একটি ময়মনসিংহ এর শহররতলিতে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ঘাঁটি স্থাপন করেছে।

—আনন্দবাজার পত্রিকা, ২৬ এপ্রিল, ১৯৭১

IN SYLHET FRONT PAK ARMY FAILS TO BREAK RESISTANCE

 AGARTALA, Aril 26: The Liberation Force of Bangladesh for the forth day today valiantly defended Sylhet’s Sherpur Ferry Ghat despite Pakistan air fore strikes early in the day in support of a ground column.

 Reports from across the border said the Pakistani army column which had moved from Sylhet earlier this week could not break the resistance of the Liberation Force despite persistent staffing and bombing of Ferry Ghat by PAF Planes.