বেতার ঘোষণায় আরও বলা গয়েছে যে ঢাকা শহরে গ্রেনেড ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে দশ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ সপ্তাহের গোড়াতে খবর পাওয়া গিয়েছিল যে, মুক্তিফৌজের কমাণ্ডো দল ঢাকায় গভর্নরের বাসভবন, সিভিল সেকরেটারিয়েট ও নিউ মার্কেটে মুসলিম কমারশিয়াল ব্যাংকের ওপর হানা দিয়েছে।
স্টীমার আটক করে ১৭ জন পাকিস্তানীর প্রাণদণ্ডাদেশ
রাওয়ালপিণ্ডি, ২৩ মে (এ,পি) বাংলাদেশের মুক্তিফৌজ যাত্রীবাহী স্টীমার রকেটটি আটক করেছে এবং গণআদালতে বিচার করে ষ্টীমারের অবাঙ্গালী যাত্রীদের ১৭ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। গতকাল কূটনৈতিক মহলইে খবর দিয়েছে।
তাঁরা বলেছেন, সেনাবাহিনী যদিও বলছেন সমস্ত প্রতিরোধ চূর্ণ করা হয়েছে তবু ওখানে যে এখনও প্রতিআক্রমণ চলছে এটাই তার বড় প্রমাণ।
ওই মহলেরই খবরঃ এই ধরনের ঘটনাগুলি ওখানে সন্ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করেছ। কোন রাজনীতিক সামরিক শাসনের সঙ্গে সহযোগিতা করছেন না এবং যেসব পশ্চিম পাকিস্তানী পূর্ববাংলায় অসামরিক কাজকর্মে লিপ্ত তাঁরা ও নিজেদের নিরাপত্তা সম্পর্কে চিন্তিত।
ওয়াকিবহাল মহলের খবরঃ মুক্তিবাহিনী মে মাসের গোড়ার দিকে স্বীমারটিকে আটক করে। স্টীমারটি ঢাকা ও খুলনার মধ্যে নিয়মিত যাতায়াত করত। প্রসঙ্গত উল্লেখ করা যেতে পারে, খুলনাই শেখের নিজস্ব অঞ্চল।
তাঁরা কালিয়া থানার জয়নগর হাইস্কুলে আয়োজিত গণআদালতে ১৭ জনকে বেছে নিয়ে বিচার করেন। একজন প্রতক্ষদর্শীর খবর, ১৭ জনের মধ্যে ১২ জনের প্রাণদণ্ডাদেশ কার্যকর হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ শহরে মুক্তিফৌজ গেরিলা ‘সক্রিয়’
আগরতলা ২৩ মে (পি টি আই)- সীমান্তের ওপার থেকে এখানে বিলম্বে প্রাপ্ত এক খবরে প্রকাশ, বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জ শহরে মুক্তিফৌজ গেরিলারা ‘সক্রিয়’ হয়ে উঠছে। জানা গেল, মুক্তিফৌজ গেরিলাদের হাতবোমায় সম্প্রতি ইনল্যাণ্ড ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট অথরিটি টারমিনাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঢাকায় শাহজাহানপুর কমাঞ্জেরা পাকসেন্য বোঝাই ২টি জীপ উড়িয়ে দেয়।
আর এক মহল থেকে এই মর্মে খবর পাওয়া গিয়াছে সামরিক প্রশাসন কর্তৃপক্ষের অবাঙ্গালী তাঁবেদাররা সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জে লক্ষীনারায়ণ কটন মিলের বহুসংখ্যক কর্মীকে খুন করেছে। মিলের ম্যানেজার ও মেডিক্যাল অপিসারও রেহাই পাননি।
জীবন দিয়ে প্রতিশোধ গ্রহণ
মুজিবনগর, ২৪মে (পি টি আই)- ওরা পশ্চিম বাংলাদেশের রংপুর শহরের পাঁচজন ছাত্র। তাঁরা দেখেছেন, পাকসেন্যরা তাদের মা-বাবাকে হত্যা এবং নারীদের শ্লীলতাহানি করছে। তাঁরা সংকল্প করলেন, যেভাবেই হোক এই নারকীয় হত্যার প্রতিশোধ তাঁরা নেবেন। তাঁরা মরণপণ করে একটি কমাণ্ডো দল গঠন করলেন। শত্রুখতম করাই হল তাঁদের লক্ষ্য।