পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (নবম খণ্ড).pdf/৪৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র : নবম খণ্ড
৪৩৭

 দিনের বেলা এলে ছবি নিতে পারতেন। মুক্তিফৌজের ঘাঁটিতে একজন বললেন। বললেন, তাঁদের যারা মনে করছেন আমরা শেষ হয়ে গেছি, আমরা এখনও শেষ হইনি। মাতৃভূমির দখল নেবার আগে আমরা ক্ষান্ত হব না।

-আনন্দবাজার পত্রিকা, ৩১ মে, ১৯৭১

MUKTI FOUJ KILLS 100 PAKISTANI SOLDIERS

 MAY 30- With its intrnsified cimmando activity, the Mukti Fouj continued to harass the Pakistani Army during the past 48 hours. At several places from feni in the south to Ashuganj in the north, the Mukti Fouj inflincted heavy casulties on Pakistani troops. according to the reports available acroos the border, Besides, 100 Pakistani sollders, including 40 officers, were ambushed and killed by Mukti Fouje.

 The freedom fighters also blew up three rail and one road bridges, damaged railway engine, and destroyed two moptors and several vehicles.

 Rail communication from Comilla to Ashuganj is still disrupted after the successful demolition of the rail bridge at several places.

-Hindusthan Standard, 31 May, 1971

ভারতীয় এলাকায় পাকসেনাদের গোলাবর্ষণ অব্যাহত

 কলকাতা, ৩ জুন- পাকস্তানী সেনারা ভারতীয় এলাকার মধ্যে অসামরিক অঞ্চলসমূহ যথারীতি গোলাগুলি বর্ষণ চালিয়ে যাচ্ছে। ইউএনআই জানাচ্ছে গতকাল কোচবিহার জেলার সীমান্তবর্তী চারটি গ্রামে পাকসেনাদের গোলাবর্ষণে একজন গ্রামবাসী আহত হয়। গত চারদিন ধরেই পাকসেনারা এই গ্রামগুলিতে প্রচুর গোলাগুলি চালাচ্ছে। ফলে এক বিরাটসংখ্যক মানুষ গ্রাম ছেড়ে চলে গেছে।

 আসামের গোয়ালপাড়া জেলার সোনাহাট ও তৎসন্নিহিত গ্রামগুলিতে গত রাতে পাকসেনারা কামান থেকে গোলা চালায়। সরকারী সূত্রের রিপোর্টে জানা যায় যে গতকাল সকাল সকাল ১১টা থেকেই পাকসেনারা ঐ অঞ্চলে মারাত্বকভাবে গুলি চালাতে শুরুকরে এবং আজ সকাল পর্যন্ত চালায়।

 মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে বহু পাকসৈন্য খতমঃ সীমান্তের ওপর থেকে জলপাইগুড়িতে প্রাপ্ত সংবাদে বলা হয় যে, গত ২৪ ঘণ্টয় বাংলাদেশে মুক্তিবাহিনী উত্তর রনাঙ্গনে গেরিলা তৎপরতা বৃদ্ধি করেছে। কোচবিহারের অপর পারে ভুরুঙ্গামারির সীমান্ত চেকপোষ্ট থেকে তাঁরা ইয়াহিয়া বাহিনী উত্তর রণাঙ্গনে গেরিলা তৎপরতা বৃদ্ধি করেছে। কোচবিহারের অপর পারে ভুরুঙ্গামারির সীমান্ত চেকপোস্ট থেকে তাঁরা ইয়াহিয়া বাহিনীকে হটিয়ে দিয়েছে। এখানকার যুদ্ধে কমপক্ষে সাতজন খান সেনা নিহত হয়।

 চিলাহাটি ও ডোমার ও এর মধ্যে তিস্তার উপর এবং কাকিনা ও ভূষিরবন্দর- এর মধ্যে সানায়াজনসন নদীর উপর মোট ৩ টি সেতু মুক্তিসেনারা ধ্বংস করে দেয়। ফলে লালমনিরহাটের দিকে পলায়নপর খানসেনাদের একটি দল বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। দিনাজপুর জগদলে আগুয়ান পাক সেনাদলকে মুক্তিযোদ্ধারা বাধা দেয় এবং ঠাকুরগাঁ পাওয়ার হাউসটি ক্ষতিসাধন করে। এই আকস্মিক আক্রমণের ফলে বহু পাকসেনা নিহত হয়েছে। রংপুর জেলার ডিমলা ও বয়রাতে ইয়াহিয়ার সাতজন গুপ্তচরকে মুক্তিযোদ্ধারা খতম করে এরা মুসলিম লীগ ও জামাত-ই ইসলামী দলের লোক বলেও প্রকাশ।

-কালান্তর, ১জুন, ১৯৭১