পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (নবম খণ্ড).pdf/৪৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র: নবম খণ্ড
৪৭৪

৪র্থ ব্যাটালিয়ন

‘এ’ কোম্পানী মোঃ শামসুর রহমান মোঃ আঃ রশিদ ‘বি’ ” মোঃ সিরাজুল হক (গফরগাঁও) মোঃ খোরশেদ আলম ‘সি’ ” এমদাদুল হক (দুলু) মোঃ সিরাজুল হক (কাচিনা) ‘ডি’ ’’ মোঃ আঃ রাজ্জাক মোঃ আনছারউদ্দিন মুন্সী (গফরগাঁও) ‘ই’ ” মোঃ খলিরুর রহমান মোঃ নজরুল ইসলাম

৫ম ব্যাটালিয়ন

‘এ’ কোম্পানী মোঃ আলাউদ্দিন আহমেদ মোঃ আঃ কাশেম (বোকাইনগর) ‘বি’ ” গিয়াসউদ্দিন আহমদ মোঃ সিরাজুল হক (রায়মনী) ‘সি’ ” মোঃ আঃ করিম পাঠান আঃ মান্নান (আমিরাবাড়ী) ‘ডি’ ” মোঃ এস,এম, শামসুল হক (খোকন) মোঃ নুরুল আমীন খান ‘ই’ ” মোঃ আঃ ছামাদ মোঃ আঃ মোতালেব খান।

হেমায়েত বাহিনী[১]

 যে গোপালগঞ্জের এক মহান সন্তানের ভাবমূর্তি আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামে বলিষ্টভাবে নেতৃত্ব দান করেছে তারই আরেক সন্তান হেমায়েতউদ্দিন গোপালগঞ্জ এলাকায় স্বাধীনতা যুদ্ধে বিশেষ কৃতিত্বের পরিচয় দিয়েছেন। বক্ষ্যমাণ নিবন্ধে এ সম্পর্কেই আলোচনার প্রয়াস পাবো।

 হেমায়েউদ্দিন ছিলেন দ্বিতীয় ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের একজন হাবিলদার। ১৯৭১ সালের ২৬শে মারচের কালো রাত্রে হানাদার বাহিনী যখন ঢাকায় আক্রমণকারীর ভূমিকা গ্রহণ করে তখন তিনি জয়দেবপুর ছাউনিতে ছিলেন। এখানে অবস্থানরত ২য় ইষ্টবেঙ্গল রেজিমেন্ট তখনও সরকারী নিয়ন্ত্রণে ছিল। ২৭ শে মার্চ সর্বপ্রথম কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে মেজর জিয়াউর রহমানের (বর্তমানে মহামান্য রাষ্টপতি) কণ্ঠস্বর ঘোষিত হলো, 'আমরা স্বাধীনতা ঘোষণা করেছি'। এই ঘোষণা শ্রুত হবার কিছুক্ষণ আগে বা পরে মেজর কে, এম, শফিউল্লাহ মর্টার প্লাটুন ও একটি কোম্পানী নিয়ে ব্যারাক থেকে বেরিয়ে পড়লেন। তিনি মেজর মঈনুল হোসেনকে একটি গোপন নির্দেশ দিয়ে গেলেন, যার ফলে অল্পক্ষণের মধ্যেই ছাউনির মধ্যস্থ সমস্ত বাঙ্গালী পরিবারকে গ্রামের দিকে পাঠিয়ে দেয়া শুরু হলো। হাবিলদার হেমায়েতউদ্দিন ও আব্দুল আজিজকে ৩৮ জন জোয়ান নিয়ে দক্ষিণের রথখোলার পেট্রোল ডিউটিতে পাঠানো হলো। তারা ডিউটিতে যাবার সময় অন্য কোন নির্দেশ পাননি। শুধু পরস্পর জানতে পেরেছিলেন যে, গভীর রাতে কয়েকটি গুলির আওয়াজ হলে সবাইকে পূর্বদিকের রানীর ঘাটে একত্রিত হতে হবে।

 হঠাৎ রাত ১১টায় গোলাগুলি শুরু হলো। অনর্গল গুলি হওয়ার ফলে অনেকে এটাকে বাইরের আক্রমণ বলে সন্দেহ করলো। হেমায়েত এবং আবদুল আজিজের মধ্যেও মতভেদ দেখা দিল। ফলে এই দলও ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়লো। হেমায়েতউদ্দিন জোয়ান আইয়ুব ও আলমকে নিয়ে পার্শ্ববর্তী গ্রামে ঢুকে পড়লেন। তারা ভোর পাঁচটার


  1. ফরিদপুর থেকে প্রকাশিত 'গণমণ' (ডিসেম্বর ১৯৭৭)-এর হেমায়েতউদ্দিন 'বীর বিক্রম' শীর্ষক প্রতিবেদন থেকে সংকলিত। হেমায়েতউদ্দিন লিখিত যুদ্ধকালীন ডায়েরী এবং সাক্ষাৎকারের উপর ভিত্তি করে প্রতিবেদনটি লিখেছিলেন এম.এ। সামাদ।