পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (পঞ্চম খণ্ড).pdf/২২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

204 বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ পঞ্চম খন্ড ক্ষমতা হাতে নিয়ে বসেছে গদিতে। দেখা যাক কদিন এর আয়ু? এই কদিনেই ডাঃ মালিকের অবস্থা হয়েছে ছেড়ে দে মা কেদে বাঁচি। যাক সে কথা। জঙ্গী সরকার যেভাবে আমাদের অগণিত মা-বোনদের নিঃস্ব করে গৃহছাড়া করেছে আমাদের ভাইকে হত্যা করেছে, আমাদের বোনকে ছিনিয়ে নিয়ে গেছে-সেই হানাদারদের আমাদের দেশ থেকে নির্মুল করতেই হবে। আজ আমাদের দেশে যে সংগ্রাম চলছে সে হল মুক্তির সংগ্রাম, স্বাধীনতার সংগ্রাম। এই সংগ্রামে আমাদের অর্থাৎ নারীদেরও ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। যেমনভাবে এই স্বাধীনতা সংগ্রামে নেমেছে আমাদের ভাইয়েরা। ভাইয়েদের সাথে আমাদের হাতে হাত মেলাতে হবে। এখন দেশের এই দুর্যোগপূর্ণ মুহুর্তে আমাদের পিছিয়ে থাকলে চলবে না। আমাদের আজ ঘরে বসে থাকলেও চলবে না। তোমারা এস- এগিয়ে এস- আজ আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামে আমরা ঝাঁপিয়ে পড়ি। আমাদের ভাইয়ের মত আমরাও মেশিনগান-মর্টার হাতে নিয়ে শত্রনিধনযজ্ঞে অংশগ্রহণ করি। আমাদের এগিয়ে আসতেই হবে। বোনেরা আমার এগিয়ে এস। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীরা আমরা কেন ঘরে থকব? মহাবিদ্যালয় ও বিদ্যালয়ের ছাত্রীরা তোমরা কেন ঘরে থাকবে? পথে নামো। আজ আমাদের ঘরে থাকার দিন নয়, আমাদের সামনে আজ বহু কাজ। ঝাঁসির রানীর বাহিনীর মত আমাদেরকেও সেনাবহিনী গঠনে অগ্রণী হতে হবে। আমাদেরকে নার্সিং-এ অংশগ্রহণ করতে হবে আহত ভাইদের সুস্থ করে তাঁদেরকে আবার দেশমাতৃকার বন্ধনমোচনে পাঠাতে হবে। যেদিন দেশমাতৃকাকে সম্পূর্ণরূপে শত্রমুক্ত করতে পারব- সেদিন আবার আমরা আমাদের ঘর আলোকিত করব-আবার স্বপ্নের জাল বুনব। শুধু বোনদেরই এগিয়ে আসলে চলবে না। মায়েদেরও এই সংগ্রামে অংশগ্রহণ করতে হবে। মায়েরা তাঁদের সন্তানকে উৎসাহিত করবেন এই মুক্তির সংগ্রামে অংশগ্রহণ করতে। এই সংগ্রাম আমাদের সকলের সংগ্রাম। বঙ্গবন্ধুর অগ্নিমন্ত্রে আমাদের সকলকে দীক্ষিত হতে হবে। জয় আমাদের সুনিশ্চিত। জয় আমাদের হবেই। আমাদের রক্ত আমরা বৃথা যেতে দেব না। (মিস ডলিনাথ রচিত) সাংবাদিক স্বাধীনতা ও হানাদার অধিকৃত বাং ৩০ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১

  • * * * * * * সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে পকিস্তানের বিগত চব্বিশ বছরের ইতিহাস মানবসভ্যতার ক্ষেত্রে এক কলঙ্কময় অধ্যায়। এই দীর্ঘ চব্বিশ বৎসর যাবৎ পশ্চিম শাসক ও শোষক গোষ্ঠী তাদের শ্রেণী:স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য বার বার শুধু জনগণের কণ্ঠই রোধ করেনি অধিকন্তু জনগণের অন্তরে আশা ও ভাষার মূর্ত প্রতীক নির্ভীক মুখপত্রগুলোর উপরও চালিয়েছে বিবেকহীন ধারলো কাঁচি

১৯৯৪ সন থেকেই পশ্চিমা শাসক ও শোষক গোষ্ঠী অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে এই পথটি বেছে নেয়। শুধু তাই নয়, নিজস্ব স্বার্থে তারা জনগণের ভাষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও রাজনীতির উপরও জঘন্য হামলা চালিয়েছে। বাংলাদেশ তার অনন্য শিকার। আর সেই শাসকচক্র বাংলাদেশে তাদের অন্যান্য রাজনৈতিক দালাল গোষ্ঠীর মতোই সাংবাদিকতার ক্ষেত্রেও কিছু তোষামদকারী ও চাটুকারের দল খুঁজে পেয়েছিল। নিজস্ব স্বার্থ চরিতার্থ