পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (পঞ্চম খণ্ড).pdf/৩০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

285 বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ পঞ্চম খন্ড (ছঃ) বলেছেন, এ ধরনের আচরণ করে যে ইহলীলা ত্যাগ করবে, সে সবচেয়ে নিম্নস্তরের হতভাগ্য ব্যক্তি। ইসলামের দৃষ্টিতে এ ধরনের লোক হীনতর ইতর প্রাণী শূকর ও কুকুরের চেয়েও বেশী নিকৃষ্টতর। যেমন আল্লাহতালা তাকে কোরানে বলেছেনঃ اولائك كالانعام بل هم اضل সুতরাং, চিন্তা করুন ওরা ইসলামের নাম ভাঙ্গিয়ে বাংলাদেশে যেভাবে অন্যের অধিকার নষ্টের কাজে লিপ্ত রয়েছে, ইসলামের দৃষ্টিতে তারা কত বড় অপরাধী! নারীদের উপর বলাৎকার করা ইসলামের কঠোর ভাষায় নিষেধ আছে। হুজুর (ছঃ) বলেছেন الزني لايزني حين يزني وهو مؤمن অর্থাৎ, কোন ব্যক্তি মুসলমান থাকা অবস্থায় কোন নারীর সাথে জেনা বা অবৈধভাবে পাশবিক লালসা চরিতার্থে মিলিত হতে পারে না। সুতরাং পাক হানাদার পশুরা যেভাবে বাংলাদেশে নারীধর্ষণ চালাচ্ছে, তাদেরকে আমরা ইসলামের নামে সংহতির ধ্বজাধারী মুসলমান বলে মেনে নিতে পারি না। তারা হল মুসলমান নামধারী বেঈমান ও মুনাফেক। অতএব, এদের বিরুদ্ধে অস্ত্ৰধারণ করে ও সার্বিক অসহযোগিতা প্রদান করে ওদের বেঈমানীর সমুচিত জবাব দেওয়া আমাদের প্রত্যেকের ইসলামিক দায়িত্ব ও কর্তব্য। আমরা যদি আমাদের এই দায়িত্বের প্রতি অবহেলা প্রদর্শন করি, তবে ইসলামের দৃষ্টিতে আমরাও ওদের সমঅপরাধী বলে গণ্য হব। কারণ, ইসলাম অন্যায়ের বিরুদ্ধে কঠোর মনোভাব গ্রহণ করতে প্রতিটি বিশ্বমানবকে ইসলামের দৃষ্টিতে জেহাদের অর্থ শুধু অস্ত্ৰধারণ করে জেহাদই নয়- অন্যায়ের বিরুদ্ধে নৈতিক সাহায্য প্রদান, অন্যায়কারী ও তাদের সহযোগীদের সাথে সার্বিকভাবে অসহযোগিতা করা, এর বিরুদ্ধে অস্ত্ৰধারণকারীদের নানাভাবে সাহায্য প্রদান করা, এর বিরুদ্ধে মানুষকে বুঝিয়ে গণসমর্থন গড়ে তোলা, অন্যায়ের বিরুদ্ধে নিজেদের বিজয়ের উপর দৃঢ়বিশ্বাস ও আশা পোষণ করা এবং পুরোপুরি ধৈর্য সহকারে সৎ ও ন্যায়নীতির মধ্যে থেকে ধীরে ধীরে বিপদ কাটিয়ে উজ্জ্বল ও স্বর্ণ ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার চেষ্টা অব্যাহত রাখাও ইসলামের দৃষ্টিতে জেহাদের অন্তর্ভুক্ত। অতএব, হে বাঙালী ভাইবোনেরা, আসুন আমরা অন্যায়কারী পশ্চিমা হানাদার পশু ও এদের পদলেহী দালাল কুকুরদের বিরুদ্ধে সার্বিকভাবে জেহাদ চালিয়ে আমরা আমাদের নৈতিক ও ধর্মীয় দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট হই। জয় আমাদের সুনিশ্চিত। نصر من الله وفتح قريب. (আবু রাহাত মোঃ হাবিবুর রহমান রচিত) বাইবেল পাঠ ও আলোচনা


নভেম্বর, ১৯৭১

আজ আমরা আলোচনা করব যীশুখ্রষ্টের মৃত্যু সম্পর্কে। প্রথমেই পবিত্র বাইবেল শাস্ত্র থেকে কটি অংশ পাঠ করে নেই।

  • * * * * “প্রভাত হইলে প্রধান যাজকেরা ও লোকদের প্রাচীনবর্গ সকলে যীশুকে বধ করিবার নিমিত্ত তাঁহার বিপক্ষে মন্ত্রণা করিল; আর তাঁহাকে বধিয়া লইয়া গিয়া দেশাধ্যক্ষ পীলাতের নিকটে সমর্পণ করিল।”