দুর্মুখ দুমুখ নবাব দুর্মুখ নবাব নবাব
- 3
355 বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ পঞ্চম খন্ড ক্ষ্যাপা কুকুরটা বিদায় হলো তাহলে। খোদা, তোমার দুনিয়া থেকে এই আবর্জনাগুলোকে সরিয়ে নাও। নইলে লাঞ্ছিত, নিপীড়িত মানুষ তোমাকে অভিশাপ দেবে। তোমার আরশ কেঁপে উঠবে। এ্যায় পরওয়ারদিগার, তুমি রহমানুর রাহিম। রহম করো-নিরীহ, নিষ্পাপ বঙ্গসন্তানদের প্রতি তুমি রহম করো। ওরা সত্য, ন্যায়ের পূজারী। ওরাই তোমার সৃষ্টির গর্ব। সাড়ে সাত কোটি মানুষের অন্তরাত্মা যেখানে অত্যাচারিত নির্যাতিত, সেখানে কেন তুমি নিশ্চপ! দুর্মুখ খান এই যে আসুন নবাবজাদা। জাহাপনা কোথায়? মন্ত্রণা কক্ষে। কেউ কি মন্ত্রণা কক্ষে গেছে? জী হ্যাঁ। ত্রিরত্বের এক রতু এইমাত্র অন্দরে গেলেন, এবার আপনি গেলেই ত্র্যহস্পর্শ। কোন গোপন সলাপরামর্শ হচ্ছে নাকি? (হেসে) আজ তেইশ বছর ধরেই তো এই দরবারের মন্ত্রণা কক্ষে কতো চক্রান্তের জাল জন্ম নিল- আবার ভাঙলো- আবার গড়লো। মাকড়শার মতো এই দরবার জালে ছেয়ে গেছে। তাইতো নিজেদের জালে নিজেরা ফেসে গিয়ে এখন আর পালাবার পথ পাচ্ছে না। তুমি বড় বাজে বলো। মাঝে মাঝে একটু চরম সত্যি কথা না বললে মুখটা কেমন যেন তেতো তেতো লাগে। আমার হাতে ক্ষমতা আসলে আমি তোমাকে একটা মন্ত্রিতু দেবো। দু পয়সা পাবার লাইন ধরিয়ে দেবো। সাবাস নবাবজাদা- সাবাস! গাছে কাঁঠাল গোঁফে তেল। আগে নিজের পেট বাঁচান নবাজাদা। আমি অন্য ধাতু দিয়ে তৈরী দুর্মুখ খান। ওসব ধাতু ছাতু হয়ে যাবে নবাজাদা। সত্যিই, আপনার অবস্থার কথা চিন্তা করলে আমার মরা কান্না কাঁদতে ইচ্ছে করে। কেন? কেন? কাঁদার কি আছে! কাঁদবো না! জাঁহাপনা আপনার গলার দড়ি ধরে ডুগডুগি বাজালেন। দর্শকের সামনে আপনি দর্শকের পায়ে হাত দিয়ে পয়সা নিয়ে জাহাপনাকে দিলেন। জাহাপনা মুচকি হেসে পকেটে সব পয়সা পুরলেন- আর আপনি বসে বসে এখন উকুন বাছছেন- আর এক টুকরো কলার জন্যে জাহাপনার দিকে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকাচ্ছেন। এদিকে লোকে আপনার পেছনে কাঠির খোঁচা দিয়ে মজা লুটছে- আর আপনি দাঁত খিচুচ্ছেন। এইতো পরিণাম! ঃঃ খামোশ বেয়াদপ। তোমাকে- তোমাকে আমি