পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (পঞ্চম খণ্ড).pdf/৩৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

359 বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ পঞ্চম খন্ড আমি খুনী- আমি কশাই। হা-হা-হা-আরও রক্ত চাই- আরও রক্ত চাই- আমি রক্তবীজ- আমি রাক্ষস-হা-হা দুর্মুখ ", 3 *ュー島 হা-.... নাটক জমে উঠেছে। যবনিকার আর দেরী নেই। তারপর নতুন পালা শুরু। ১ আগষ্ট, ১৯৭১

ফতে ফতে দুমুখ " ウ " *、 ।। বাদশা কেল্লা ফতে খান হাসছেন। আলমপনা, সকাল থেকে আপনি শুধু হাসছেন। এ এক আশ্চর্য পরিবর্তন কেন হাসছি বল তো দুর্মুখ খান? অনেক রকম হাসি আছে জনাব। আনন্দের হাসি, দুঃখের হাসি, শয়তানের হাসিআমার হাসি শুনে কি মনে হচ্ছে তোমার? ইথারের বুকে কান পাতলে এমনি অনেক অট্টহাস্য শুনতে পাই। সুলতান মামুদ, নাদির শা, চেঙ্গিস, হিটলার সকলে বোধ করি এভাবেই হাসতেন। রাজা-বাদশারা এভাবেই হাসে মূখ। কিন্তু জাঁহাপনা, কোনদিন কি মায়ের হাসি দেখেছেন? যখন মায়ের কোলে শিশুর মধুর হাসি মুখ দেখে বুক ভরিয়ে যায়? কোনদিন কি রাস্তার ওই উলঙ্গ ছেলেটার মুখের স্নিগ্ধ হাসি দেখেছেন? দেখেছেন কি গ্রাম-বাংলার কৃষকের প্রাণের খোলা হাসি? না, দেখেননি। কারণ সেইসব হাসি আপনি কেড়ে নিয়েছেন। বাংলা-মাশরেকী বাঙ্গালা। শোন দুর্মুখ খান, বাংলার মানুষের মুখের হাসির চাইতে সেখানকার ঃঃ জানি জনাব, বাংলাদেশটা আপনাদের কাছে সোনার থালা, আর বাঙালীদের কাছে বাংলা ওদের মা। সেই মাকে কোনদিন কি আপনি ওদের কাছে থেকে কেড়ে নিতে পারবেন? ?? দুর্মুখ, বাদশা কেল্লা ফতে খান যেখানে থাবা চালায় সেখান থেকে খালি মুঠি কোনদিন ফিরিয়ে আনেন না।আর খোদা না খাস্তা যদি বাংলাদেশ আমার হাত থেকে বেরিয়ে যায়, তাহলে গোটা বাংলাদেশটাকে আমি জুলিয়ে পুড়িয়ে ভস্মস্তুপে পরিণত করবো। এই আমার কসম। ঃঃ জনাব, শুনি নাকি ধ্বংসস্তুপের মধ্যেই নতুনের ভিত্তি রচিত হয়। আশ্চর্য সাহস ওই বাংলার দামাল ছেলেগুলোর-এখনও হিংসের নাকে সুড়সুড়ি দিচ্ছে। ঃঃ ওই বিদ্রোহীরা আমাকে অতিষ্ঠ করে তুলেছে। আমার নীদ হারাম করেছে। কিন্তু কমবকতরা বরঞ্চ দু’পায়ে দলে গেছে। ঃঃ জনাব, শুনি নাকি বাংলাদেশের পথে কাঁটার চাইতে কাদা বেশী। সেই হাতী এবার কাদায় পড়েছে জাঁহাপনা।