পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (পঞ্চম খণ্ড).pdf/৪০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

380 বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ পঞ্চম খন্ড নিয়াজ :ঃ হ্যাঁ, চলাই আমাদের জীবন। স্বপন স্বপন স্বপন নিয়াজ (জনান্তিকেঃ হল্ট, হু কামস দেয়ার) (মহিলা কণ্ঠঃ ফ্রেণ্ড) রেখা এসে গেছে ও তোমাদের সংগে যাবে। দিনের বেলায় যেতে হবে। বিপদসংকুল যদিও, তোমাদের উপর আমার বিশ্বাস আছে। ঃ জীবনমৃত্যু পায়ের ভূত্য চিত্ত ভাবনাহীন। বিপদের কথা শুনলে মন আমার আনন্দে নেচে ওঠে। বিপদহীন, শংকাহীন জীবন বড্ড সুনকো লাগে কমরেড। আমি চাই মৃত্যুর মাঝে জীবনের গান গাইতে। আর সে গান রক্তরাঙ্গা নির্ভীক জীবনের গান। রোদ্রোজ্জ্বল সংগ্রামী জীবনের গান। নির্ভয় নিঃশঙ্ক চলার শপথ যে নিয়েছে তার কাছে কোন বাধাই বাধা নয়। দুস্তর সমুদ্র বা দুর্লঙ্ঘ্য পাহাড় কিছুই তার পথ রোধ করতে পারে না। (বিস্ফোরণের শব্দ দূর থেকে) শুনলেন তো, ফরহাদপুরের ব্রিজ উড়ে গেলো। হানাদারদের পথ আজ থেকে রুদ্ধ হয়ে গেল। ঃ এবার আমরা বাকী পথটুকুও বন্ধ করে দেবো। আজ ওরা গ্রামে-গ্রামে দলবদ্ধ পাগলা জানোয়ারের মতো হামলা চালাচ্ছে। ঘর-বাড়ি আগুন লাগিয়ে পোড়াচ্ছে। মানুষকে রাস্তায় দাঁড় করিয়ে মেশিনগানের গুলি চালিয়ে হত্যা করছে। ঃঃ আর মা-বোনদের ধরে নিয়ে যাচ্ছে। সমগ্র বাংলাদেশে শয়তানরা ১০০টা বন্দীশিবির করেছে। আর সেখানে হাজার হাজার মানুষকে বন্দী করে অকথ্য নির্যাতন করছে। মা-বোনদের ইজ্জত নিয়ে ছেলেখেলা করছে। এ নির্যাতন বন্ধ করব, নির্যাতনকারীর মৃতদেহের স্তুপে লেখা হবে হানাদারের গ্রানিকর পরাজয়। ?? নিয়াজ ভাই, আমাদের কি কাজের ভার দেবেন বলেছিলেন না? ঃ ও হ্যাঁ, শোন, নগরপুরে দুশমনদের একটা শক্ত ঘাঁটি আছে। এ ঘাঁটিটা আমাদের নষ্ট করতে হবে। এ ঘাঁটিটা নষ্ট হলে আমরা নদীপথ এবং সড়ক উভয়ই নিয়ন্ত্রণ করতে পারবো। শহরে আঘাত হানার পক্ষেও সুবিধা হবে। এ আক্রমণে আমি নেতৃত্ব দেবো নিয়াজ ভাই, আমাকে শুধু পাঁচটা ছেলে দেন। আমি ঃ নেতৃত্ব তুমি দাও ক্ষতি নেই, কিন্তু এভাবে এতো অল্প ছেলে নিয়ে গেলে কতখানি সফল হবে

        • *ョ卒島

ভেবে দেখেছ? এখন এতো ভেবে দেখার সময় নেই। এখন জানি শুধু শত্রর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ো। ঃঃ না, স্বপন বিশেষ প্রস্তুতি নিয়েই তোমরা এগিয়ে যাবে। আমরা ত্রিমুখী আক্রমণ চালাবো। তিনটে দল থাকবে, তার একটার নেতৃত্ব নেবে তুমি। ঃঃ আমার কাজ কি নিয়াজ ভাই?