পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (পঞ্চম খণ্ড).pdf/৪১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

387 বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ পঞ্চম খন্ড আজ তোমরাও বেরিয়ে এসেছো বাইরে। আজ তো কোন প্রশ্নই ওঠে না কি করব, কেন করব। জমির ভাই কাজলীর মা ছোটমিয়া রুস্তম কাজলীর মা কাজলীর মা জমির ভাই

        • *ョ*島

দেখো ছোটমিয়া। এই লড়াই শুরু হয়ে কতো মানুষ ঘরবাড়ি আত্মীয়-স্বজন ছেড়ে এসেছে। কতো ভাই ভাইকে হারিয়েছে। ঃ ও কথা তুলে মন খারাপ না করাই ভালো, তাই না ছোটমিয়া? "g *一亨叠 "g *一亨叠

        • *ュ*豊

"3 蔷一下昏 "" l." ബ আগে বাপু শোনই কথাটা কি বলতে চাইছে। কথার মাঝে বাগড়া দেওয়া থামো, হয়েছে। রাগ করে জমির ভাইকে এমন করে না ধমকালে হতো না? যাক রুস্তম কি বলতে চাইছো বল তো? কি আর বলব, মনটাই খারাপ হয়ে গেল। ও মা, এতটুকু কথা শুনেই মনটা খারাপ হয়ে গেলে চলবে কি করে রুস্তম। তুমি না সৈনিক, তুমি না লড়াই করো? আমি ওভাবে কথাটা বলিনি ছোটমিয়া। আমি ভাবছিলাম, রুস্তম হয়তো কথার তোড়ে আসল কথাই চাপা দিয়ে দেবে, তাই বলেছিলাম। যাক রুস্তম বল।

ঃ আচ্ছা এবার বলো রুস্তম। এখন আর অভিমান করার সময় নেই রুস্তম। আর ওটা তোমার

সাজেও না। আজ আমরা বাংলার সাড়ে সাত কোটি মানুষ প্রত্যক্ষ সংগ্রামে লিপ্ত। কোথাও কোনদিকে চাইবার সময় নেই আমাদের। এখন সোজা কথা বলো, সোজা কাজ করো। অযথা দুঃখ করে সময় কাটিয়ে লাভ আছে? মনে বল রাখো, বুকে সাহস রাখো, চোখকান খুলে রেখে লড়াই চালিয়ে যায়। হক কথার এক কথা। ঠিকই বলেছ ছোটমিয়া। তাই তো বলছিলাম আমি। আজ ভোরে গাবতলীর মাঠ দিয়ে কাসিমপুরে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ রাস্তায় দেখা মানকের সাথে। ওই যে মানকে গো-মজিরুদিন লাতিটা। মজিরুদ্দিন লাতির আবার কি হলো! খুব ভালো লোক-কিছু হয়েছে নাকি? কৈ, আমি তো শুনিনি কিছু হয়েছে নাকি? না কিছু হয়নি। আগে কথাটা শুনোই না বাপু, তারপর পিড়িং পিড়িং করো। বাঁধা সারিন্দার তার হাত লাগলেই পিড়িং। থামো রুস্তম। কথাটা খুব বেশী হয়ে যাচ্ছে। বলো। ঃঃ হ্যাঁ, তারপরে মানকে তো মুষড়ে, মুখটা এতটুকু হয়ে গেছে। জিজ্ঞেস করলাম কি হয়েছে

  1. 3

তোর। মুখ এমন শুকনো কেন? বলে কি জানোয়ারগুলো যেখানেই যাচ্ছে সাধারণ পাড়াগাঁয়ের মানুষগুলোকে মেরে খতম করে দিচ্ছে। কাপুরুষ শক্তি প্রয়োগ করে নিরহের উপরে। এ জন্যেই আমরা আজ রুখে দাঁড়িয়েছি, মরণপণ করে লড়াই করে যাচ্ছি।