পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (পঞ্চম খণ্ড).pdf/৪২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাষ্টার ভাই বসির ভাই বসির ভাই মাষ্টার ভাই বসির ভাই মাষ্টার ভাই বসির ভাই মাস্টার ভাই বনি মাস্টার ভাই

  1. 3
  2. 3
  3. 3
3
  1. 3
  2. 3
3
3
3
  1. 3
3

"g 、*

        • リュ*豊

" *.* 396 বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ পঞ্চম খন্ড পরশু কালিগঞ্জ গেছিলাম। মুক্তিবাহিনীর গানবোটে চড়ে। গায়ের লোক আমাদের বোট দেখে ‘জয় বাংলা ধ্বনি দিতে দিতে নদীর পাড়ে এসে হাজির, আর আমাদের দেখে কতো খুশী!...কে যায়? কে? আমি বসির। কে, বনি নাকি?...আরে মাস্টার ভাই দেখছি। আসসালামু আলায়কুম। ওয়ালায়কুম আসসালাম। এসো বসির ভাই। কোথায় যাচ্ছিলে? ময়নাবুবুর কাছে যাচ্ছিলাম। কাল কিছু কাপড়-চোপড় ময়নাবুবু জোগাড় করেছে, মুক্তাঞ্চলের গরীব-দুঃখীকে দেওয়ার জন্য, ওগুলো নিয়ে আসি। ?? আমিও কিছু জোগাড় করেছি, তাহলে তুমি সেগুলোও নিয়ে যেয়ো, আমি আবার অন্য কাজে আটকা পড়ে গেছি, সময় পাচ্ছি না। ঠিক আছে নিয়ে যাবো। তারপর কি গল্প করছিলে তোমরা। গল্প না, বসির ভাই। সত্যি ঘটনা। বনি পরশুদিন কালিগঞ্জে গেছিল তারি গল্প করছে। কও শুনি। আমিও যাবো একদিন! যা বলছিলাম, মাস্টার ভাই, ঘাটে যখন বোট ভিড়ল, লোকে কি খুশী। এর মধ্যে এক বুড়ো মানুষ হঠাৎ বলে উঠল “বাপুরে, আজ তোমাদের গানবোট দেখে আমরা ছুটে আসছি তোমাদের দেখার জন্য। আর দুদিন আগে ওই শয়তানের বাচ্চারা যখন আসত, নদীর দুই পাড়ে গাঁয়ের লোক কে যে কোথা পালাবে, তার হিসাব পেতো না। মেশিনগান ফিট করে রাখতো। সমানে গুলি চালাতো পাড়ে, কে মরবে, কে বাঁচবে, বলা মুস্কিল ছিলো। মানুষের মনে ভয় এবং সন্ত্রাস সৃষ্টির জন্য এবং মুক্তিবাহিনীর আক্রমণ থেকে নিজেদের বাঁচানোর জন্য এলাপাতাড়ি গুলি চালাতো, সাধারণ মানুষের মৃত্যুতে কিছু যেতোআসতো না- কিন্তু আজ শয়তানরা বুঝতে পেরেছে, বাংলার মানুষ তাদের চরম ঘৃণা করে। মুক্তিবাহিনীকে পরম আদরে তারা ডেকে নেয়, কিন্তু জল্লাদদের দেখলে ঘৃণায় মরে যায়। কথাটা কিন্তু ঠিক। অত্যাচার করে যে মানুষের মুক্তির ইচ্ছাকে দমানো যায় না সেটা শয়তানগুলো বুঝেছে। আর আজ বেঈমানের জাতগুলো তাই পোড়া মাটি নীতি’ অবলম্বন করেছে। তারা যে অঞ্চল ছেড়ে পিছু হটে যাচ্ছে সে অঞ্চলটা সম্পূর্ণ জুলিয়ে-পুড়িয়ে শেষ করে দিচ্ছে। ধান-চাল লুটপাট করে দিয়ে যাচ্ছে, বাড়িঘর সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দিচ্ছে। তাতেই কি মানুষকে কোনদিন দাবিয়ে রাখতে পারবে? না, মোটেই না। এ জন্যই তো আমাদের প্রিয় নেতা বঙ্গবন্ধু বলেছেন, “আমাদের আ দাবিয়ে রাখা যাবে না। মাষ্টার ভাই, চলো না হাঁটতে হাঁটতে গল্প করতে করতে যাই, ময়না বুবুর ওখানে।