পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (পঞ্চম খণ্ড).pdf/৪২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ময়না বু ময়না বু মাষ্টার ভাই ময়না বু মাষ্টার ভাই ময়না বু বসির ভাই ময়না বু বসির ভাই ময়না বু মাস্টার ভাই

  1. 3
3
  1. 3
  2. 3
  3. 3
  4. 3
3
3
3
  1. 3
  2. 3
3
3

397 বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ পঞ্চম খন্ড কথাটা ঠিকই বলেছ বসির ভাই। চলো মাস্টার ভাই ময়না বুবুর ওখানেই যাই, কাজের কথাও হবে, একটু গল্প করাও যাবে। ময়না বু....ও ময়না বু। কে? বনি নাকিরে- আরে ভাই, কাজ করছি। আমরাও এসে গেছি ময়না বু, এসো এসো, মাস্টার ভাইও দেখছি, বসো। কাপড়-চোপড় তো অনেক জোগাড় হয়েছে দেখছি ময়নাবুবু ভালই করেছ। অধিকৃত অঞ্চলে মানুষের জীবন তো ভীষণ কষ্টের মধ্য দিয়ে কাটছে, মুক্ত হওয়ার পর মানুষ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে। অধিকৃত অঞ্চলে মানুষের জীবন কাটছে একটা বিভীষিকাময় ঘোরের মধ্যে। স্বস্তি নাই, শান্তি নাই, ঘুম নাই, আরাম নাই। এদিকে শয়তানগুলো আর রাজাকার- বদর বাহিনীর জানোয়ারগুলো মানুষের ঘর থেকে তাদের শেষ সম্বলটুকু হবে। ময়না বু আমি কিছু জিনিস, ঔষধপত্র আর কাপড়-চোপড় জোগাড় করে দেবো। ঃঃ আমরা তো মানুষের সেবা করতে পারি। তাই এই সেবার ভারটা আমি হাতে তুলে নিয়েছি। আজ বাংলা মা-বোনেরা এভাবেই তো দেশের সেবা করছে, সেবা করার জন্য এগিয়ে এসেছে ময়নাবুবু আজ স্বতঃস্ফৰ্তভাবে মানুষ যে যা কাজ করতে পারে, সে তাই করবে। যেকোন কাজ দ্বারাই মুক্তিসংগ্রামকে সাহায্য করা যায়। যে মুক্তিবাহিনীর জন্য মরচা খোঁড়ে, তাদের শত্রর অবস্থানের খবর এনে দেয় অথবা মুক্তিবাহিনীর গুলির বাক্স বয়ে নিয়ে যায়, সেও মুক্তিসংগ্রামের সামিল, সেও মুক্তসংগ্রামকে সাহায্য করছে। তাহলে আমিই বলি- যশোর ক্যান্টনমেন্টের কাছে তুমুল লড়াই চলছে। ক্যান্টনমেন্টের উপর চরম আঘাত হানছে। এদিকে আবার জল্লাদবাহিনী মসজিদে মসজিদে ওদের জন্য দোওয়া করতে বলেছে। বেটারা মরে মরে ভূত হচ্ছে আর আতংক বাড়ছে। নোয়াখালীর কথা শুনেছ? মুক্তিবাহিনী বিলোনিয়া দখল করে এখন ফেনীর দিকে এগিয়ে চলেছে। পথে ছাগলনাইয়া দখল করে নিয়েছে। ছাগলনাইয়া ফেনী থেকে মাত্র চার মাইল দূরে। এদিকে তো আমি শুনলাম, পচাগড়া মুক্তিবাহিনীর দখলে আর সেটা দখল করার জন্য পাক ফৌজ খুবই চেষ্টা চালাচ্ছে। চেষ্টা তো করবেই, কিন্তু পারলে হয়। মুক্তিবাহিনী যেখানে মুক্ত করছে, তাদের ঘাঁটি শক্ত করছে। ঢাকা শহরে তো হরদম বোমা বিস্ফোরণ হচ্ছে। কয়েকটি পেট্রোল বোমার আগুনে রেলসেতুগুলোর চরম ক্ষতি হয়েছে। মুক্তিবাহিনী এখন প্রতিটি সেক্টরে তৎপর। রাস্তা-রেল-নদীপথে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত। প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম-অধিকৃত অঞ্চলে পঞ্চাশ থেকে একশ ভাগ পর্যন্ত বেড়ে গেছে।