পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (পঞ্চম খণ্ড).pdf/৪২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বসির ভাই মাষ্টার ভাই ময়না বু বসির ভাই মাস্টার ভাই বসির ভাই মাষ্টার ভাই মাস্টার ভাই 凸堂 钴。**

  1. 3
  2. 3
  3. 3
  4. 3
3
3
  1. 3
  2. 3
  3. 3
3

400 বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ পঞ্চম খন্ড গত বুধবার মুক্তিবাহিনী সিলেটের শমসেরনগর বিমানঘাঁটিটি দখল করে নিয়েছেন। রংপুরের ধরলা নদীর উপরে তারা শক্তি সঞ্চার করে হানাদারদের আঘাত হানার জন্য দক্ষিণে এগিয়ে যাচ্ছে। মুক্তিবাহিনী খুলনার সাতক্ষীরা শহর সম্পূর্ণ অবরুদ্ধ করে ফেলেছে এবং ফেনীর কমলপুরে প্রচণ্ড আক্রমণ চালিয়ে মুক্তিবাহিনীর বীর যোদ্ধারা যশোর জেলার সাদিপুর, ঝিনাইকুণ্ড এবং জামিরা এলাকা থেকে দখলদার সৈন্যদের বিতাড়িত করেছে। মুক্তিবাহিনী দিনাজপুর জেলার বোদা থানা সদর দখল করে নিয়েছে। পচাগড় থেকে মাত্র কয়েক মাইল দূরে এই বোদা থানা। এখন মুক্তিবাহিনী তীব্রগতিতে ঠাকুরগাঁয়ের দিকে এগিয়ে গিয়ে দখল করে নিয়েছে। এদিকে আবার ময়দানদীঘি এলাকাটা হানাদার বাহিনীর হাতে থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত হয়ে গেছে। মুক্তিবাহিনী এখন যেখানে আঘাত হানছে সেখান থেকেই শয়তানরা পিছু হটছে। সময় হয়ে গেছে, বাছাধনরা খাওয়া-দাওয়া ভুলে এখন ইয়া নফসী, ইয়া নফসী শুরু করেছে। বনি, একটা সুন্দর আলোচনা হচ্ছে। তার মধ্যে শুরু করেছ ফাজলামি, তোমাকে কতবার বলা হয়েছে, এখন ঐসব হালকা কথাবার্তা বলবে না। যাক তোমরা দুজনেই থামো, মুক্তিবাহিনী কুমিল্লা জেলার তিনটে গুরুত্বপূর্ণ এলাকা দখল করে নিয়েছে। শয়তানদের বাইরের সংগে যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছে। এই এলাকাগুলো হলো গংগাসাগর এবং রাজারকোট। যশোর সেক্টরে মুক্তিবাহিনী প্রচণ্ড আক্রমণ করে নাভারন-সাতক্ষীরা রোডটি থেকে পাক সাতক্ষীরা রোডে হানাদারদের সংগে মুক্তিবাহিনীর জোর লড়াই চলছে। কুষ্টিয়া জেলার কথাও শোন তাহলে। জীবননগর তো মুক্তিবাহিনীর দখলে; এদিকে আবার জীবননগর থানার উত্তর-পূর্বে আন্দুবাড়িয়া এখন মুক্তিবাহিনীর দখলে। চুয়াডাঙ্গা দখলের ব্যাপার নিয়ে মুক্তিবাহিনীর সংগে-প্রচণ্ড লড়াই চলছে। মারো আর তাড়ো। কথাটা ঠিকই। বগুড়া জেলায় মুক্তিবাহিনী আরিয়াকান্দি থানায় ২২ জন পাক দস্যকে খতম করেছে। আর বেঁচেছিল দুজন, তারা আবার পালাতে না পেরে মুক্তিবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। পাক জানোয়ারগুলো যেখানে না পারছে, সেখানেই বিমান আক্রমণ চালিয়ে সাধারণ কিন্তু তাতেই কি বাংলাদেশের মানুষের মনোবল ভাঙতে পারবে? পারবে না। কোনদিন ওরা সক্ষম হবে না। বাংলার মানুষের মন আরো সবল, আরো কঠিন হয়ে উঠেছে। শত ঃখ কষ্টেও বাংলার মানুষ ভেঙে পড়বে না।