পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (পঞ্চম খণ্ড).pdf/৫৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

517 বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ পঞ্চম খন্ড পরিশিষ্ট-১ শিরোনাম সূত্র তারিখ ২৫। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র S S S S S S S S S S S S S S SS S S S S S S S S S S Ֆ:ՖԳ :) প্রতিষ্ঠা সম্পর্কিত কয়েকটি প্রতিবেদন ১. মুক্তিকামী বাঙালীর প্রেরণার উৎস স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র আতিকুর রহমান ইথারে ভেসে আসা শব্দ যে বুলেটের চেয়েও প্রচণ্ডতম শক্তি নিয়ে শত্রর বিরুদ্ধে আঘাত হানতে পারে তার প্রমাণ হচ্ছে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্ৰ। ইয়াহিয়া খানের নেতৃত্বে টিক্কা-নিয়াজী-ফরমান আলীর বীর পশুরা সেদিন বুলেট-বেয়োনেট দিয়ে বাংলাদেশের জনগণের স্বাধীনতা সংগ্রামকে স্তব্ধ করতে চেয়েছিল। আর স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র হাতিয়ারের চেয়ে শক্তিশালী আঘাত হেনেছে নরপশুদের বিরুদ্ধে। ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চের কালো রাতে পাকিস্তানী বাহিনী মরণ ছোবল হেনেছিল। শহর-বন্দরগ্রামকে রক্তে রঞ্জিত করেছিল। সেই আঘাতে হকচকিত বাংলার মানুষ পরদিন ২৬শে মার্চ বেতারে শ্রুত একটি বাণীতে খুঁজে পেয়েছিলেন আশার বাণী। সে বাণী ছিল স্বাধীনতার, হানাদারদের কবল থেকে মুক্তির। দীর্ঘ নয় মাসের যুদ্ধে এই বেতার বাঙ্গালীদের যুগিয়েছে উৎসাহ-উদ্দীপনা, দেশকে মুক্ত করার প্রেরণা। বিপ্লবী বীর সূর্যসেনের স্মৃতিতে উজ্জ্বল চট্টলার বুক থেকেই সেদিন বেতারে হয়েছিল বাংলার স্বাধীনতা। আর কালুরঘাটস্থ পাকিস্তানী বেতারের ট্রান্সমিশন কেন্দ্র থেকেই বাংলার ঘরে ঘরে পৌছানো হয়েছিল স্বাধীনতার সে বাণী। ২৬শে মার্চ জন্ম নিয়েছিল বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম হাতিয়ার স্বাধীন বাং বেতার কেন্দ্র। ২৫শে মার্চ রাতে হানাদার হায়েনার দল হত্যাযজ্ঞ শুরু করার পর ২৬শে মার্চ সকাল থেকে চট্টগ্রাম বেতারের সকল কর্মচারী কাজ বন্ধ করে নিয়েছিলেন। ব্রডকাষ্টিং যন্ত্রপাতি সরিয়ে রেখেছিলেন যাতে হানাদার বাহিনী প্রয়োজনবশত অবিলম্বে বেতার কেন্দ্র থেকে প্রচার শুরু করতে না পারে। ঢাকা বেতারও সেদিন নীরব ছিল। চট্টগ্রামের কিছু সংখ্যক দেশপ্রেমিক সেদিন এগিয়ে এসেছিলেন। ‘স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র চালু ২৬শে মার্চ দুপুরে কিছুক্ষণের জন্য একবার চট্টগ্রাম বেতার থেকে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র’ বলে