এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ প্রথম খন্ড
৪২৩
শিরোনাম | সূত্র | তারিখ |
---|---|---|
আওয়ামী লীগ প্রচারিত মুসলিম লীগ বিরোধী বক্তব্য | পাকিস্তান অবজারভার | জুন, ১৯৫৫ |
সালতামামী
মুসলিম লীগের ৭ বৎসরের শাসনকালে খতিয়ান
- তথাকথিত নিরাপত্তা আইনে মওলানা ভাসানীসহ শত-সহস্র দেশদরদী, ছাত্র, যুবক ও কর্মীকে বিনা বিচারে কারাগারে নিক্ষেপ।
- নিজেদের দলীয় ব্যবসায়ীদের দ্বারা কৃত্রিম উপায়ে লবণ সঙ্কট সৃষ্টি করিয়া জনসাধারণকে ১৬ টাকা সের দরে লবণ ক্রয় করিতে বাধ্য করা।
- কেন্দ্রীয় শাসক গোষ্ঠীর নিকট আত্মসমর্পণ করিয়া পূর্ব্ব পাকিস্তানের জনগণের ন্যায় দাবী-দাওয়া বিকাইয়া দেওয়া।
- আরবী হরফে বাংলা ভাষা লিখিবার উদ্ভট পরিকল্পনা করা।
- পূর্ব্ব পাকিস্তানের প্রাণের দাবী বাংলাকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবীকে নস্যাৎ করা।
- বাংলাভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবীদার জাগ্রত ছাত্র-জনতার উপর নৃশংস গুলি চালনা ও হত্যা।
- কৃত্রিম উপায়ে দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি করিয়া খুলনায় লক্ষ লক্ষ লোককে মৃত্যুর কবলে ঠেলিয়া দেওয়া।
- উর্ধ্বতন পার্ট ব্যবসায়ীদের সহিত ষড়যন্ত্র করিয়া পূর্ব পাকিস্তানের একমাত্র সম্পদ পাটকে নূন্যতম দরে বিক্রয়ের ব্যবস্থা করা।
- দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির পরাকাষ্ঠা প্রদর্শন।
- নিজেদের দলীয় লোকদের মধ্যে পারমিট, লাইসেন্স প্রভৃতি বিতরণ।
- ৭ বৎসর পর্যন্ত অসংখ্য উপ-নির্বাচন বন্ধ রাখা।
- পরাজিত হওয়ার ভয়ে ১৯৫৪ সালের সাধারণ নির্বাচনের সময় পুলিশী জুলুম চালাইয়া অসংখ্য দেশদরদী কর্মীদের হাজতবাসে বাধ্য করা।
- পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর পূর্ব্ব পাকিস্তানের সম্পদে সৃষ্ট ও পুষ্ট কলিকাতা নগরীকে বিনা বাধায় হিন্দুস্থানের নিকট ছাড়িয়া দিয়া রাতারাতি চলিয়া আসা।
- চাকুরী-বাকুরী, ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প প্রভৃতি ক্ষেত্রে পূর্ব্ব পাকিস্তানের জনগণকে বঞ্চিত করিয়া কেন্দ্রীয় শাসক গোষ্ঠীর নিকট আত্মসমর্পণ।