পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (প্রথম খণ্ড).pdf/৭৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ প্রথম খন্ড
৭৩০

 বিজয়ের দিনে, “হে আমার বিজয়ী বন্ধুগণ! তোমরা যে জাতিই হওনা কেন, মনে রেখ, আজ প্রতিশোধ নেওয়ার দিন নয়; আজ শুধু প্রেম বিতরণ করা এবং দোষ ভুলে যাওয়ার দিন।” সুতরাং সেই যে কায়েদে আযমের বাণী সেটি অমুসলমানদের নিকট তৃপ্তি এবং আশ্বাসের বাণী এবং মুসলমানদের নিকট গৌরবের বাণী। বিজয়ী উৎফুল্ল মুসলমানদের পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর তিনি সাবধান করে দিয়েছিলেন, বলেছিলেন, তোমরা হিন্দু মুসলমান একসাথে বসবাস কর। আমি এরূপ কল্পনা করতে পারি না যে এর অর্থ হতে পারে যে তিনি পৃথক নির্বাচনের দাবী নস্যাৎ করে দিয়েছিলেন। জুনাগড় সম্বন্ধে, কাশ্মির সম্বন্ধে হায়দ্রাবাদ সম্বন্ধে নজর দিলেই সকলে স্বীকার করতে বাধ্য হবেন যে তাঁর সমগ্র জীবন প্রমাণ দিচ্ছে যে তিনি পাকিস্তানের যুক্ত নির্বাচনের বিরুদ্ধে এবং স্বতন্ত্র নির্বাচনের পক্ষে রায় দিয়েছেন। একথা সর্ববাদী সত্য। সভাপতি মহোদয়, গণতন্ত্র সম্বন্ধে একটা কথা বলা হয় যে, স্বতন্ত্র নির্বাচন কায়েম হলে গণতন্ত্র ব্যাহত হবে। এ কথা মোটেই সত্য নয় .....  স্পীকার মহোদয়, আমি উপসংহারে বলতে চাই, যদি স্বতন্ত্র নির্বাচনের দাবী পরিত্যাক্ত হয় তাহলে সর্বপ্রথম কতা হচ্ছে, মুসলমানদের সনাতন, শাশ্বত মানবতার যে আদর্শ আছে সে আদর্শ হল আল্লাহর সার্বভৌমত্বের স্বীকৃতি, তা ব্যাহত হবে। পাকিস্তানের মুসলমানদের দ্বারা স্বতন্ত্র নির্বাচন পরিত্যক্ত হলে পূর্বোক্ত আদর্শকে সম্পূর্ণ বিসর্জন দেয়া হবে। যদি এই স্বতন্ত্র নির্বাচনের দাবী পরিত্যাগ করা হয় তাহলে পাকিস্তানের সমাধি আজ নাহোক কাল রচিত হবে। যে বিশাল সংস্কৃতি এবং মানসিকতার বলে এই নূতন পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছিল, মুসলমান জনগণ আজ সে আদর্শ বিস্মৃত হতে চলেছে। সেই বিস্মৃত আদর্শকে পুনরায় বিশ্বে প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে আজ বিশ্বের সমস্ত মুসলিম দেশে নব জাগরণের তূর্যনিনাদে মহাজাগরণের বাণী উঠেছে, আত্মাহুতির দাবী এসেছে। আজ পাকিস্তানে সে আদর্শের পরিপন্থী পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। সেই পরিবেশ নষ্ট করে দিতে হবে। পাকিস্তানে আমরা একজাত হয়ে যদি পাকিস্তানের থিওরী ভুলে যাই তাহলে কলকাতা আর সীমামেত্মর কোন ব্যবধান থাকবে না। অনাগত ভবিষ্যতে হিন্দু মুসলমানের ভোটে এবং মুসলমান হিন্দুর ভোটে নির্বাচিত হবেন কিন্তু তারা প্রকৃত প্রতিনিধি হতে পারবেন না। যদি পৃথক নির্বাচন ব্যবস্থায় নির্বাচন হয় তাহলে তারা সত্যিকারের প্রতিনিধিত্ব করতে পারবেন। যদি হিন্দু মুসলমানকে এবং মুসলমান হিন্দুকে ভোট দেয় সেটা অত্যন্ত অন্যায় এবং মারাত্মক হবে। তার ফল সব দিক দিয়েই খারাপ হবে। আরও একটা কথা হচ্ছে যে পাকিস্তান যে বিশ্বমানবের মংগল এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব করছে, সেই সার্বভৌম মানবতার অধিকার ক্ষুণ্ণ হবে।

 Mr. ABUL BASHAR MOHD. SULTANUL ALAM CHOWDHURY Mr. Speaker. Sir, the question of electorate wliich is being mooted and debated here, I think, is one of the most outstanding and serious subjects that have been placed before this House in the last nine years of its splendid existence. I call it an outstanding and serious subject because, to me, it is not a political question pure and simple, as is often explained and interpreted by the exponent of Joint Electorate but with it are interlinked the very important religious and culture, questions and above all the safety and security of the state itself. Before entering deep into the main theme, sir. I think it behaves me to give in nutshell the genesis and history of separate Electorate in the undivided subcontinent of India.

 In 1906 a deputation consisting of Nawab Mohsinul Mulk Nawab Vikarul Mulk, Sir Syed Ali Imam, Hakim Azmal Khan, Mr. Justice Shahi Din and others under the leadership of the Aga Khan waited upon Lord Minto, the then Viceroy of India and demanded among other things the right of separate Electorate for the Muslims and that was agreed to and was in view of the political backwardness of the Muslims embodied in the Minto-Morley Reforms.