পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/১৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

129 বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ ষষ্ঠ খণ্ড শিরোনাম ংবাদপত্র তারিখ রাজাকারদের জন্য শেষ বাংলাদেশ ২২ নভেম্বর, ১৯৭১ সুযোগ ১ম বর্যঃ ২২শ সংখ্যা রাজাকারদের জন্য শেষ সুযোগ (নিজস্ব ভাষ্যকার) ংলার মুক্তিযুদ্ধের ব্যাপকতা ও প্রচণ্ডতা বৃদ্ধির সাথে সাথে পশ্চিম পাকিস্তানী হানাদার পশুদের মনে এক বিভীষিকাময় আতঙ্কের কালো ছায়া রেখাপাত করেছে। স্বাধীনতা মন্ত্রে দীক্ষিত মুক্তিযোদ্ধা ও গেরিলাদের অতর্কিত আক্রমনে পাক বাহিনী দিশেহারা, সদ্য শঙ্কিত । নিতান্ত প্রাণের দায়ে বা মুখ রক্ষার খাতিরে এরা আজ ভগ্নমনে লড়ে যাচ্ছে। এরা এতই শঙ্কিত যে, যে কোন অভিযানে তাবেদার রাজাকার ছাড়া এক পাও এগুতে সাহস পাচ্ছে না। রাজাকার নামক এইসব বকরীগুলো এতদিন খুটির জোরে বহু কুদেছে। আজ খুটি ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম দেখে বহু রাজাকার দলে দলে মুক্তিবাহিনীর কাছে অস্ত্রশস্ত্র সমেত আত্মসমপণ করে চলেছে। পায়ের তলা থেকে যখন মাটি সরে যাচ্ছে, পালে যখন উল্টো হাওয়া বাইতে শুরু করেছে তখন এদিন যারা ধর্মীয় বিভ্রান্তি, প্রলোভন বা সাময়িক মোহের বশবর্তী হয়ে অথবা লুটপাটের দরাজ সুযোগ লাভের জন্য সেনাবাহিনীর তল্পীবাহক হয়ে স্বাতি নিধনযজ্ঞে , অগ্নিসংযোগ ও লুন্ঠনের লিপ্ত ছিল তারা আজ সন্বিত ফিরে পাচ্ছে ক্রম। তাই দলে দলে এরা আত্মসমপণ করে চলেছে। রাজাকারদের কাছে শেষ সুযোগএসেছে। এদের ভেবে দেখা উচিত কার জন্য কিসের জন্য এত আত্মবলিদান করে চলেছে। একবারও কি এরা ভাবছে না যে স্বাধীন বাংলায় এদের কি অবস্থা হবে। বাঙালী হয়ে বাঙালীর প্রতি এই ক্ষমাহীন আচরনের জন্য তাদের শাস্তি পেতেই হবে। আর স্বদেশ দ্রোহিতার বা স্বাধীনতা সংগ্রামের বিরোধীদের একমাত্র শাস্তিই হলো মৃত্যুদণ্ড। এখনও কিছু সময় বাকী আছে। আজও যদি এরা মুক্তাঞ্চলে চলে আসে, কৃতকর্মের অনুশোচনা করে, তবে আমরা তাদেরকে পথভোলা মানুষ বলে পরিপূর্ণ নাগরিকের মর্যাদা দেব। যার যা অস্ত্রশস্ত্র আছে তাই সমেত আত্মসমর্পণ করে আত্মপক্ষ সমর্থনের শেষ সুযোগ এসেছে রাজাকারদের কাছে।