পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/২৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

241 বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ ষষ্ঠ খণ্ড শিরোনাম সংবাপত্র তারিখ বাঙালী কূটনীতিবিদদের আনুগত্য বদল ংলার বাণী ২১ সেপ্টেম্বর, অব্যাহত মুজিব নগরঃ ৪র্থ সংখ্যা Հի, Գ Հ ইয়াহিয়ার মুখে লাথি মারিয়া (কূটনৈতিক সংবাদদাতা) বাংলাদেশে জঙ্গীশাহীর বর্বরতম গণহত্যার প্রতিবাদে ইসলামাবাদের বিদেশস্থ দূতাবাসের আরও একজন বাঙালী কূটনীতিবিদ গত ১৩ই সেপ্টেম্বর জঙ্গীশাহীর চাকুরীতে ইস্তফা দিয়া লণ্ডনস্থ বাংলাদেশ মিশনে যোগদান করেন। তিনি হইতেছেন জনাব মহিউদ্দিন জোয়ারদার। জনাব মহিউদ্দিন লাগোস এবং নাইজেরিয়াস্থ ইসলামাবাদ মিশনের চেন্সারী প্রধান ছিলেন এবং কখনও একই দিনে ম্যানিলাস্থ ইসলামাবাদ দূতাবাসের প্রধান জনাব খুররম খান পন্ন ইসলামাবাদ জঙ্গশাহীর সহিত তাঁহার সম্পর্ক ছিন্ন করিয়া বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেন। গত বৎসর মার্চ মাসে তিনি রাষ্ট্রদূত হিসাবে ম্যানিলা গমন করেন। তাঁহার পদত্যাগের পূর্বে হংকংস্থ ইসলামাবাদ মিশনের প্রধান জনাব মহসীন আলী বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেন। বাংলাদেশের সমর্থনে এ পর্যন্ত বিদেশস্থ ইসলামাবাদ কূটনৈতিক মিশনসমূহের ৪০জন কূটনীতিবিদ জনাব পল্লীর পদত্যাগের কারণ সম্পর্কে আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি এখনও কিছু বলেন নাই। অপর একটি সূত্র হইতে জানা যায়, সম্প্রতি ইসলামাবাদ কর্তৃপক্ষ তাঁহাকে ইসলামাবাদে ফিরিয়া যাওয়ার জন্য বার্তা পাঠাইয়াছিল। জনাব পল্লীর পদত্যাগের পর এখন কেবল পিকিংয়েই ইসলামাবাদ জঙ্গীশাহীর বাঙালী কূটনীতিবিদ অবশিষ্ট রহিল। পিকিংস্থ ইসলামাবাদ দূতাবাসের এই বাঙালী কূটনীতিবিদ হইতেছেন জনাব কায়সার। জানা যায়, তিনিও ইসলামাবাদ জঙ্গশাহীর কোপদৃষ্টিতে আছেন। কারণ, ইয়াহিয়ার বাংলাদেশ নীতির প্রতি পিকিং নিজেকে পিকিংয়ের সহিত খাপ খাওয়াইতে পারিতেছেন না। প্রকাশ, ইতিমধ্যেই তাঁহার গতিবিধির উপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হইয়াছে। জনাব কায়সারকে হংকং যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হইতেছে না। জনাব পল্লীর পদত্যাগের আভাস পূর্বেই পাওয়া যায়। সম্প্রতি ম্যানিলায় প্রেসিডেন্ট ফার্ডিন্যাণ্ড সরকার কথাটি একবারও উচ্চারণ করেন নাই। জনাব পয়ী ম্যানিলায় বাংলাদেশ মিশন স্থাপন করিয়া তথায় বাংলাদেশের স্বীকৃতির জন্য কাজ চালাইয়া যাইবেন।