পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/২৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

248 বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ ষষ্ঠ খণ্ড শিরোনাম সংবাপত্র তারিখ পর্যবেক্ষকের দৃষ্টিতে বাংলাদেশের ংলার বাণী ২৮ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১ মুক্তিসংগ্রাম ও বিশ্ব রাজনীতি মুজিব নগরঃ ৫ম সংখ্যা পর্যবেক্ষকের দৃষ্টিতে বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রাম ও বিশ্বরাজনীতি বাংলাদেশের দখলীভূত এলাকা থেকে জবর খবর এসেছে। তাঁবেদার লাট মল্লিকের একজন পেয়ারা খবরে স্বীকার করা হয়েছে, মন্ত্রীবর্গের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এই খবর লেখার সময় পর্যন্ত জানা গেছে, দালাল মন্ত্রী সংজ্ঞাহীন অবস্থায় হাসপাতালে রয়েছে। ডাঃ মালিক ওরফে মল্লিকের রসজ্ঞান খুব টনটনে। সম্ভবতঃ শৈশবে এই দাঁতের ডাক্তার হারাধনের দশটি ছেলের ছড়া পাঠ করেছিলেন। তাই বেছে বেছে তার দালাল মন্ত্রিসভায় দশটি দালাল গ্রহণ করেছে। এই দশ দালালের অবস্থা যে কার্যক্রমে হারাধনের দশ ছেলের মত হবে, এ বিষয়ে বাংলাদেশের একজন বালকের মনেও আজ কোন সন্দেহ নেই। হারাধনের দশ ছেলের ছড়ায় আছে। একটি গেলো বাঘের পেটে রইলো বাকি নয়।” মুক্তিযোদ্ধারা এই ছড়াটিকেই একটু ঘুরিয়ে এখন বলতে পারেন, মালিক মিয়ার দশটি দালাল একটি গেলো গ্রেনেড খেয়ে রইলো বাকি নয়। বাকি নয়টি আস্তে আস্তে যাবে। মীরজাফরের নিমক হারামের দেউরির মত তাদের বংশে বাতি দিতে কেউ থাকবে না। এটা ইতিহাসের অমোঘ বিধান। এবার মুক্তিযুদ্ধের খবর কিছু বলি। একটি বিদেশী সংবাদ সংস্থা খবর দিয়েছেন, যশোরে দত্ত কবি মাইকেলের স্মৃতিপূত সাগরদাড়ি এখন মুক্ত এলাকা। সেখানে মুক্তিযোদ্ধারা স্বাধীন বাংলাদেশের প্রশাসন ব্যবস্থা গড়ে তুলেছেন। খুলনার সুন্দরবন এলাকায় একটি হানাদার ঘাঁটিতে আক্রমণ চালিয়ে মুক্তি সংগ্রামীরা একশোর মত হানাদার দসু্য খতম করেছেন। রংপুরের চাষারহাট ও পাটগ্রামে উড়ছে স্বাধীন বাংলার পতাকা। বিদেশী সংবাদপত্রের খবরে প্রকাশ, বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ ভ্রাতা শেখ আবু নাসের সাংবাদিকদের কাছে বলেছেন, সম্প্রতি খুলনা বন্দরে ১২ হাজার টনের একটি জাহাজ ডুবিয়ে দেয়া হয়েছে। মুক্তি সংগ্রামীরা চট্টগ্রাম বন্দরে আরো ১৮টি জাহাজ ডুবিয়েছে।