পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/২৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

259 বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ ষষ্ঠ খণ্ড সহকারী মেসার্স গোলাম আলি, আকবর মির্জা এবং গোলাম হোসেনের সহায়তায় শেখ সাহেবের পক্ষ সমর্থন করিতেছেন। পশ্চিম পাকিস্তানী সংবাদপত্রে শেখ মুজিবের মুক্তির সম্ভাবনা সম্পর্কে জল্পনা-কল্পনা চলার পরিপ্রেক্ষিতেই এই সরকারী ঘোষণা প্রচারিত হয়। শেখ সাহেবের সঙ্গে দেখা করিয়া জনাব ব্রোহী পিণ্ডি ফিরিয়া ইয়াহিয়ার সঙ্গে দেখা করার সাতদিন পরে ৭ই সেপ্টেম্বর বিচার প্রহসন পুনরাম্ভ হয়। ঘোষণানুসারে দেখা যায় ১১ই আগষ্ট হইতে ৭ই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর বিচার প্রহসন মুলতবী ছিল। কিন্তু উক্ত সময়ে জাতিসংঘে জঙ্গী শাহীর প্রতিনিধি আগাশাহীসহ সরকারী কর্মকর্তারা বলিয়াছিল যে, বিচার চলিতেছে’। শেখ সাহেব কোথায় আছেন ঘোষণায় সে সম্পর্কে কিছু বলা হয় নাই। তবে সর্বশেষ খবর অনুয়ায়ী তিনি লায়লাপুর জেলে আটক আছেন। গুজব এদিকে লণ্ডন হইতে প্রাপ্ত খবরে জানা যায়, সেখানে এই মর্মে জোর গুজব চালু হইয়াছে যে, শেখ সাহেবকে শিগগিরই মুক্তি দেওয়া হইবে। এমন কি জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বাংলাদেশ প্রশ্নে আলোচনার আগেই তাহাকে মুক্তি দেওয়া হইতে পারে। অপর এক খবরে বলা হয়, ঢাকায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অশীতিপর পিতামাতাকে দেখার জন্য বঙ্গবন্ধুকে প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হইতে পারে। বিচার বন্ধ করো সোভিয়েত সাংবাদিক ইউনিয়ন বঙ্গবন্ধুর বিচার প্রহসন বন্ধ করার জন্য ইয়াহিয়ার প্রতি আহবান জানাইয়াছে। সাংবাদিক ইউনিয়ন বাংলাদেশ ইসু'র রাজনৈতিক সমাধানেরও আহবান জানান। সোভিয়েত শান্তি কমিটি এবং কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলির পক্ষ হইতেও অনুরূপ আহবান জাননো হইয়াছে। সিংহলী এম,পির উদ্যোগ কলম্বো হইতে ডি, পি, এ জানান, সিংহলের ক্ষমতাসীন বামপন্থী যুক্তফ্রন্টভুক্ত পার্লামেন্ট সদস্য মিঃ ভি, গুণবর্ধন জানাইয়াছেন যে, তিনি শেখ মুজিবের মুক্তির দাবীতে পার্লামেন্ট সদস্যদের স্বাক্ষর সংগ্ৰহ করিতেছেন। বিচার প্রহসন প্রাভদায় প্রকাশিত সোভিয়েত আফ্রো-এশিয়ান সংহতি কমিটির এক বিবৃতিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিচারকে বিচারের নামে প্রহসন বলিয়া আখ্যায়িত করা হয়। প্রাভদায় বাংলাদেশ ইসু'র রাজনৈতিক সমাধানও দাবী করা হয়।