পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ ষষ্ঠ খণ্ড শিরোনাম সংবাদপত্র তারিখ সম্পাদকীয় জয়বাংলা ৩য় সংখ্যা ১ এপ্রিল ১৯৭১ সম্পাদকীয় সর্বশক্তিমান আল্লাহতায়ালার কৃপায় “জয় বাংলা”র তৃতীয় সংখ্যা বাহির হইল। নওগাঁও মত ছোট শহর হইতে বর্তমান পরিস্থিতিতে একটি দৈনিক পত্রিকা (যত ছোট কলেবরই হোক) বাহির করা যথেষ্ট কষ্টসাধ্য ব্যাপার। মুদ্রণালয়ের কর্মচারীদের অকুণ্ঠ এবং আন্তরিক সহযোগিতা না পাইলে “জয় বাংলা” হয়ত বা আপনাদের কাছে পোছিত না। 米 “Cowards die many times before their death, the valiant never tastes of death but once. কাপুরুষেরা মৃত্যুর আগেও বার বার মরে, বীরেরা কখনও একবারের বেশী মৃত্যুবরণ করে না। (আমাদের অনুবাদ) টিল্পনী নিম্প্রয়োজন। “জয় বাংলা’র প্রথম সংখ্যায় আমরা লিখিয়াছিলাম সংগ্রাম পরিষদের নির্দেশ কেহ অমান্য করিবেন না। আমরা পুনর্বান সংগ্রাম পরিষদের নির্দেশাবলী মানিয়া চলিবার জন্য জনসাধারণের প্রতি আহবান জানাইতেছি। আমাদের চূড়ান্ত বিজয় সমাসন্ন। ইতিহাস পাঠে জানা যায় যুদ্ধে যত ক্ষতি হয় বিজয় পূর্বে বিশৃঙ্খলার দরুন অনেক সময় তার চেয়ে বেশী ক্ষতি সাধিত হয়। একটা উদাহরণ দেওয়া অপ্রাসঙ্গিক হইবে না। ইতিহাসে আছে ফরাসি বিপ্লবের পরে আত্মকলহ, হিংসা এবং বিশৃঙ্খলা এত চরমে উঠিয়াছিল যে বিপ্লবের অনেক লক্ষ্যই অর্জিত হয় নাই। এমনকি বিপ্লবের পরিষদের অধিকাংশ নেতৃবর্গকেই “গিলোটিনে” প্রাণ হারাইতে হইয়াছিল। পরিণামে ফ্রান্সে পুনর্বার রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল। কাজেই আমাদের অনুরোধ জনসাধারণ, নেতৃবৃন্দ এবং মুক্তিবাহিনীর বিভিন্ন শাখা সকলে হুশিয়ার থাকিবেন। সংগ্রাম পরিষদের নেতৃবৃন্দ ফেরেশতা নহেন-তাহারাও মানুষ। কাজেই ছোটখাট ভুল-ভ্রান্তি ত হইবেই। আমাদিগকে দুঃখের সহিত লিখিতে হইতেছে এই চরম সত্যাটি অনেকেই স্বীকার করিতে চাহেন না। লক্ষ্য করা গিয়াছে কিছুসংখ্যক শিক্ষিত লোকও এসব ব্যাপার নিয়া জনমনে কিছুটা বিভ্রান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করিতেছেন। আমাদের অনুরোধ, জনসাধারণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি না করিয়া সংগ্রাম পরিষদের সঙ্গে যোগাযোগ করতঃ আপনাদের গঠনমূলক মতামত পেশ করিয়া সামান্য ভুল-ত্রটি দূর করার ব্যাপারে সহায়তা করুন। আমরা -In of “Voice of reason must prevail,”