পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/৪০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

369 বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ ষষ্ঠ খণ্ড জনাব হাফিজউদ্দিন বলেন, আমরা এখন স্বাধীনতা সংগ্রামের শেষ পর্যায়ে; কিন্তু আসলে এটাই আমাদের শুরু, দেশের অর্থনীতি, শিক্ষা ও সংস্কৃতিকে গড়ে তুলতে হবে সমাজতান্ত্রিক আদর্শের ওপর ভিত্তি করে। এর জন্যে প্রয়োজন আরও ত্যাগ, আরও চেতনাশীল হওয়া। পরিশেষে তিনি দৃষ্টান্তস্বরুপ ভালুকার তথাকথিত ‘বাঘ’-এর ল্যাজ গুটিয়ে কুকুরের ন্যায় পশ্চাদপসরণের ব্যাপারটি উল্লেখ করেন। জনগণের সম্মিলিত শক্তি এইভাবেই চারদিকে পতন ঘটিয়ে চলেছে অত্যাচারীর। তারা পিছনে ফেলে যাচ্ছে মানুষকে শোষণ করে জমিয়ে তোলা বিপুল ধন-সম্পদ। কিন্তু তবু তারা রেহাই পাচ্ছে না, কারণ গণ-আন্দোলনের প্রখর সূর্যালোকে প্রতিটি চুলেরও ছায়া পড়ছে। জ্ঞাপন করেন। মুক্তিযুদ্ধে সামরিক বিভাগের সাথে অসামরিক জনতার অবিচ্ছেদ্য সম্পর্কের ওপর তিনি বিশেষ জোর দেন। বিপুল হর্ষধ্বনি, শ্লোগান ও করতালির মাধ্যমে সভার কাজ সম্পন্ন হয়। সবশেষে শহীদদের আত্মার কয়েকটি নির্দেশ ১। মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় বাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত মিত্রবাহিনীকে সাহায্য করুন। ২। কালবাজারির আশ্রয় নিবেন না; বাংলাদেশ সরকার কালবাজারিকে কোন দিন বরদাশত করবে না। ৩। পশ্চিম পাকিস্তানী জিনিসপত্র পরিহার করুন। ৪। অপরাধীদের শাস্তির ভার কোন অবস্তাতেই নিজের হাতে নেবেন না। বাংলাদেশ সরকারই অপরাদীদের বিচার করবেন। ৫। বাংলাদেশ বেতার শুনুন। -বাংলাদেশ সরকার