পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ ষষ্ঠ খণ্ড
8

 কিছুসংখ্যক লোক শহর ত্যাগ করিয়া গ্রামে চলিয়া গিয়াছেন। অসমর্থ ব্যক্তিরা শহর ছাড়িয়া যান আপত্তি নাই। কিছু কিছু সমর্থ ব্যক্তিরাও শহর ছাড়িয়া পালাইয়াছেন। বহু চেনা মুখকেই নওগাঁ শহরে দেখা যাইতেছে না। এই সমস্ত লোকগুলিই সময়ে শহরে ফিরিয়া লম্বা লম্বা কথা বলিবে, উজির নাজির মারিবে, নওযোয়ান মাঠ চেঁচাইয়া ফাটাইবে। এ সমস্ত লোককে জানান যাইতেছে “জয় বাংলা”র কলমরে খোঁচা খাইতে না চাহিলে অবিলম্বে শহরে প্রত্যাবর্তন করুন। জানেনই ত “Pen is mighter than the sword” কলম তরবারীর চাইতে শক্তিশালী।”....

 হিংসা সংক্রামক রোগের ন্যায়। কোন কোন বিশেষ পরিস্থিতিতে হিংসাকে চাড়া দেওয়া অসম্ভব হইয়া পড়ে। যদি সম্পূর্ণ চাপা দেওয়া সম্ভব না হয় (চাপা দিতে পারিলেই মঙ্গল) তবে উহাকে অবশ্যই নিয়ন্ত্রণে রাখা কর্তব্য। আজ যে হিংসার স্রোতে কোন একটি বিশেষ শ্রেণীর লোকদের দিকে প্রবাহিত হইতেছে পরে উহা যে অন্য কোন দিকে দিক পরিবর্তন করিবে না তাহা কি কেহ নিশ্চয় করিয়া বলিতে পারেন? সব কিছুকেই নিয়ন্ত্রণে রাখা ভাল। সময় অতিক্রান্ত হইলে কোন কিছুকেই হাজার চেষ্টা করিলেও নিয়ন্ত্রণে আনিতে পারিবেন না। অত্যাচারীদের অবশ্যই শাস্তি দিতে হইবে, তবে নিরাপরাধ ব্যক্তিদেরকে লঘু পাপে গুরু দণ্ড দেওয়া কোনমতেই সমর্থনযোগ্য নহে। উহা নীতিবিরুদ্ধ এমনকি পবিত্র কোরানের নির্দেশেরও পরিপন্থী। অত্যাচারীর সঙ্গে লড়াই করা ধর্মীয় এবং নৈতিক কর্তব্য। হিংসার সঙ্গে উহার কোন সম্পর্ক নাই। বঙ্গবন্ধু নিজেও একাধিকবার হিংসা পরিহার করিবার নির্দেশ দিয়াছেন।